চা প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই রোজ হচ্ছে আর চা খাওয়ার পর তা জমছে সিংকে বা আবর্জনার পাত্রে। খাওয়ার পর চা পাতা ফেলে দেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ফেলে দেওয়া চা পাতার যে কত উপকার তা অনেকেরই অজানা। চা পাতা থেকে ফেলে দেওয়া চা এর শীটে যে কত উপকারী । সেই ফেলে দেওয়া চা পাতা দিয়ে হয় অনেক কাজ। আপনি রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন সেই সব কথা শুনলে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চায়ের পাতায় থাকে। তাই চায়ের পাতা ব্যবহার করা যায় শরীরের আঘাত বা জখম হলে সেখানে। এর জন্য সেই পাতা জখম জায়গায় লাগাতে পারেন পাতা সিদ্ধ করে। আবার জখম জায়গাটি পরিষ্কার করা যায় অনায়াসে চায়ের লিকার সামান্য ঠান্ডা করে।
গাছের জন্য ভীষণ ভালো সার, বিশেষ করে গোলাপ গাছের জন্য এর চেয়ে উপকারী উপাদান নেই বললেই চলে চায়ের সেদ্ধ পাতার থেকে। চা পাতা দেওয়া যায় সব গাছেই। এই পাতা ব্যবহার করতে পারবেন অফিসের টেবিলে টবে থাকা গাছের গোড়ায়ও। ব্যবহার করা চা পাতা সার হিসেবে অত্যন্ত উপযোগী বিশেষ করে ইনডোর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে।
সাধারণত কিছুদিন পরই ঘোলাটে হয়ে যায় বেসিনের আয়না। ব্যবহৃত টি ব্যাগ দিয়ে আয়না ভালো মতো ঘষুন আয়নার ঘোলাটে ভাব দূর করতে। আয়না ধুয়ে তারপর দেখুন কেমন চকচকে হয়। ব্যবহৃত ভেজা টি ব্যাগ ব্যবহার করা যায় রান্নাঘরে চুলার আশেপাশের তেল চিটচিটে ভাব দূর করতেও।
এয়ার চায়ের পাতা ব্যবহার করা যায় ফ্রেশনার হিসাবেও। অনেকেই কার্পেট বা ফ্রিজে টি ব্যাগ রেখে দেন বাজে গন্ধ দূর করতে, তাতে গন্ধ কিছুটা কমে। যে সাধারণ সুগন্ধ চায়ের রয়েছে, দুর্গন্ধ সেই অ্যারোমায় কেটে যায়। তাই সহজেই চা পাতা ব্যবহার করতে পারেন এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে।
কয়েকটি টি ব্যাগ রেখে দেওয়া যেতে পারে। একে ‘বাথ টি’ বলে ব্যবহার করার পর বাথটবে আপনার স্নানের জলে। অনেক বেশি ফ্রেশ লাগবে সেই জলে স্নান করলে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও অনেকটা বাড়ে টি বাথ নিলে। এই বাথ টি বেশ ভালো চুলের জন্যও। এখন এই বাথ টি অনেকেই নিচ্ছেন।
চায়ের লিকারের সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছুন কাঠের আসবাব থেকে ফাঙ্গাসের আক্রমণ কমাতে । ভেজা টি ব্যাগ বা চায়ের লিকার মেঝে, চুলা বা সিঙ্ক থেকে চটচটে ভাব কমাতেও ব্যবহার করুন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন দাগ তোলা হয়ে গেলে।