প্রতিবছরের এই সময়টায় বাজার ছোট-বড় আনারসে (Pineapple) ভরে যায়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসে নজর কাড়া সব আনারস। অসামান্য স্বাদ গন্ধ ছাড়াও , গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী (Seasonal Fruit) এই ফলের আরও অনেক গুণই বর্তমান। এই সরস হলুদ ফলটির পুষ্টিগুণ এটিকে বিশেষ করে তোলে। আনারস কেবল একটি সুস্বাদু মৌসুমী ফল ছাড়াও এটির উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে এটি প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধ প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে:
আনারসে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ এর মতন খনিজ। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে মজবুত করে তোলে। আনারসে উপস্থিত ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে।
ভাইরাসজনিত রোগ থেকে প্রতিরোধ আর দেহের ইমিউনিটি বাড়ানো:
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি শরীরকে ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা লাগা আর কাশির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বর্ষাকালে নাক দিয়ে জল পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের ইত্যাদি মরসুমী অসুখ থেকে বাঁচাতে আনারসের রস কাজ করে।
ওজন কম করতে:
আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ক্যালোরি থাকে খুবই কম। এই কারণে এই মরশুমী ফলটি ওজনও কমাতেও সাহায্য করে। এক কাপ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রস বা জলীয় অংশ যা দেহের জলের ঘাটতি পূরণ করে।
হজম শক্তি বাড়াতে:
আনারস আমাদের পাচনতন্ত্রের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক এমন একটি এনজাইম উপাদান যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করে পরিপাক ক্রিয়া কে ভালো রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে:
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট খাওয়ার পরামর্শ দেন। আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ফেনলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ফ্রী রেডিক্যাল কে বিনাশ করে। ফলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আপনার ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতন রোগের থেকেও সুরক্ষা দেয়।