উত্তরপ্রদেশের বেরেলিতে দ্বাদশ পাস মুসলিম মেয়ের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তার নিজের পরিবারের সদস্যরা। মেয়েটি কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তার কাকারা এবং দিদা তার পড়াশোনার বিরুদ্ধে ছিলেন। ব্যাপারটা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায় দাড়ায় যে ভাগ্নিকে পড়াশুনা করতে না দিতে দুই মামা তার সামনে জোর করে উলঙ্গ হয়ে বলে পড়তে গেলে এমন হবে। এসিড নিক্ষেপেরও হুমকি দেয় মেয়েটিকে। এরপর মেয়েটি কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
এরপর সুভাষনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়েটির মা। ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, তার বাবা প্রাইভেট চাকরি করেন। বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি এই বছর ১২ ক্লাস পাস করার পর স্নাতক হতে জন্য কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন এবং কোচিংও শুরু করেছিলেন, কিন্তু তার ঠাকুমা এবং কাকারা তার উচ্চ শিক্ষার বিষয়টি মানতে পারেনি। স্পষ্ট বলে দেয়, স্কুল-কলেজ শিক্ষা মেয়েদের জন্য নয়।
কাকা উলঙ্গ হয়ে বাসায় এলো
নির্যাতিতা জানায়, ২০শে আগস্ট সে তার মায়ের সাথে বাড়িতে একা ছিল। তখন তার দুই কাকা এসে ঘরে ঢুকল। দুজনেই প্রথমে তার ও তার মায়ের সামনে অশ্লীল কাজ করে তারপর নগ্ন হয়ে যায়। পরে মা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তদন্ত করলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে যায়। বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়নি, পরের দিন সে কলেজে গেলে তাকে কলেজে আসতে যেতে দেখে তার কাকা তাকে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়।
পুলিশ মামলা করেছে
এরপর তৃতীয় কাকাও বাড়িতে এসে তাকে গালিগালাজ করেন। তিন কাকার ভয়ে ছাত্রী কলেজ ও কোচিং দুটোই ছেড়ে দেন। নির্যাতিতা ছাত্রী জানায়, ২১ আগস্টও তার মা থানায় অভিযোগ জানান।
মেয়ের ওপর চুক্তির চাপ দেওয়া হচ্ছে
ওই ছাত্রী জানান, এখন মামলা দায়ের হওয়ায় তার কাকা, মাসী ও ঠাকুমা পরিবারকে বিষয়টি প্রত্যাহার করে মীমাংসা করতে বলছে, তবে সে কোনো মূল্যে আপস করবে না। মেয়েটি বলে যাদের ভাইজির সামনে জামা খুলতে লজ্জা করেনি, তারা কোন মুখে আপসের কথা বলছে। বাড়ির নারীদের সম্মান নেই। সে বুঝতে পারছে না যে যদি তার বাবা-মা তাকে পড়াশুনা করাতে চায়, তাহলে কারো কি সমস্যা।