Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

মা কে বলে কোনো লাভ নেই! বোনের অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে দুষ্কর্ম দুই ভাইয়ের! অতঃপর..

কানপুরে সৎ-নাবালিকা বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুজনেই নাবালিকার ভিডিও বানিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করত। তদন্তের সময়, নির্যাতিতার সৎ বাবা-মা অরফান হাউজ থেকে তার দত্তক নেওয়ার নথিও দেখাতে পারেননি। বর্তমানে ধর্ষণের দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের কানপুরে ঘটেছে এই ঘটনা। বোনের বয়স মাত্র ১৬ বছর। মামলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে জানা গেছে, দুই ভাইই সৎ বোনের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করেছিলেন। তারা তাকে মানহানির হুমকি দিয়ে ক্রমাগত ধর্ষণ করে আসছিল।

Up teacher arrested for smashing students face with cake

পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যায়, অভিযুক্তের বাবা-মা বেআইনিভাবে ওই মেয়েটিকে ২০১৩ সালে একটি অনাথ আশ্রম থেকে দত্তক নিয়েছিলেন। যার কারণে তারা এই দত্তক সংক্রান্ত কোনো নথিও দেখাতে পারেনি। বর্তমানে ধর্ষণের দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হবে।

তদন্তে জানা যায়, ভিকটিম বান্দার বাসিন্দা। তার মা ২০১৩ সালে মারা যান, তারপরে বাবা তিন মেয়েকে তাদের মাতৃগৃহে রেখে যান। কিন্তু মামা দিদার তিন মেয়েকে বান্দার অনাথ আশ্রমে রেখে দেয়। এরপর কানপুর নালা রোডের ব্যবসায়ী মেহবুব আলী ও তার স্ত্রী শাহজাহান বেগম ২০১৩ সালে অবৈধভাবে সেখান থেকে একটি মেয়ে শিশুকে দত্তক নেন।

এরপর থেকে পালিত বাবা মায়ের সঙ্গেই বসবাস করছিলেন নির্যাতিতা। ১৪ আগস্ট রাতে নিজের হাতের রগ কেটে ফেললে শোরগোল সৃষ্টি হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য উরসালায় ভর্তি করা হয়। বিষয়টি পুলিশের কাছে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রসঙ্গত নির্যাতিতা তার সাথে ঘৃণ্য কাজের একটি ভিডিওও প্রকাশ করেছিল। এতে মেয়েটি জানায় কিভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

নির্যাতিতা জানান, মেহবুব আলীর দুই ছেলে সৌদ ও দাউদ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। তার ভিডিও তৈরি করেছিলেন তার ছোট ভাই দাউদ। মাকে সব খুলে বলবে বললে দুই ভাইই বলত, তুমি ফাঁদে পড়বে। কারণ আমরা মায়ের প্রকৃত সন্তান। তুমি পালিত।” ভুক্তভোগী তখন স্কুলে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানায়, তারপরে তাকে অনাথ আশ্রমে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর ভিকটিম তার হাতের রগ কেটে ফেললে বিষয়টি কর্নেলগঞ্জ থানায় পৌঁছায়। পুলিশও অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিষয়টি চাপা দেয়। বিষয়টি নাবালিকা জেলা শিশু কল্যাণ কমিটিকেও জানাননি। বিষয়টি আধিকারিকদের কানে পৌঁছলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

শিশু কল্যাণ কমিটিও বিষয়টি তদন্ত করবে
যুগ্ম কমিশনার আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি বলেছেন, “তদন্তের সময় ব্যবসায়ী মেহবুব আলি খান দত্তক সংক্রান্ত কোনও নথি দেখাতে পারেননি। নিয়মানুযায়ী যে বাড়িতে দুই ছেলে আছে সেখানে কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার কোনো আইনগত বিধান নেই। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেহবুবের দুই ছেলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এখন মামলা হতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার আদালতে সোপর্দ করার পর দুজনকেই জেলহাজতে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে বুধবার ভিকটিমকে চিকিৎসাসহ শিশু কল্যাণ কমিটির সামনে হাজির করা হবে। শিশু কল্যাণ কমিটিও নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করে ঘটনার সত্যতা খতিয়ে দেখবে।

Related posts

যার সাথে বিয়ে-যৌন সম্পর্ক হয়েছে সেই স্বামী আদতে নারী! বিয়ের ১০ মাস পর টের পেলেন স্ত্রী

News Desk

জীবন বাঁচাতে বানানো হল সিমেন্টের পাঁজর, জটিল অপারেশনের নজির কলকাতার চিকিৎসকদের

News Desk

বৃদ্ধা মায়ের গায়ে আগুন দিয়ে রাস্তায় ফেলে পালালো ছেলে–বউ! লুকিয়ে দেখতে এসেই…

News Desk