গাড়ি ফেরত নিতে গেলে বলেছিলেন গাঁজা কেসে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন। ঠিক এরকমই দাবী করলেন অনুব্রত মন্ডল যে গাড়ি চড়েন তার আসল মালিক বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা প্রবীর মন্ডল । শুক্রবারদিন সংবাদ মাধ্যম কে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানান, তিনি বলেন যে ভয়ে কখনও কিছু বলতে পারিনি, আমাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে।
অনুব্রতর ভোলে ব্যোম রাইস মিলে শুক্রবার সিবিআই আধিকারিকরা যখন তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন তখন দেখা যায়, সেখানকার গ্যারেজে একের পর এক দামি গাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি ফোর্ড এন্ডেভর গাড়িও রয়েছে WB54U6666 নম্বরের। যদিও ষে গাড়ির মালিক অনুব্রত নন, মালিক প্রবীর মন্ডল এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে রীতিমতো বোমা ফাটালেন।
বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা প্রবীর মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি গাড়ির ব্যবসা করেন। এর পাশাপাশি ঠিকাদারির কাজও করেন তিনি। প্রবীরবাবু এদিন জানান , ‘ বিশ্বকর্মা পুজোর সময় গাড়িটা দিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে ৪৬ লক্ষ টাকার মতো গাড়ি দিয়েছিলাম। কাজ পেয়েছিলাম তিলপাড়া বাঁধ সংস্কারের, সেজন্য গাড়ি দিতে হয়’।
তিনি আরও বলেন যে , এরপরে কাজ না পাওয়ায় অনুব্রত মন্ডলের কাছে গাড়ি ফেরত চাইলে তিনি সোজা প্রশ্ন করেন , গাঁজা কেস খাইয়ে জেলে ভরে দেবো, এবার বল জেলে থাকবি নাকি গাড়ি চড়বি ’?
বোলপুরে ভোলে ব্যোম (Bhole bom) রাইস মিলে (Rice Mill) গরুপাচার তদন্তে গতকাল হানা দেয় সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জানিয়েছেন , অনুব্রতর স্ত্রী এবং মেয়ের নামে মালিকানা রয়েছে ওই রাইস মিলের। শুক্রবার দিন ওই রাইসমিলের সিকিউরিটি তাদের ঢুকতে দিচ্ছিলো না ঠিকই, কিন্তু তারা মিলে ঢুকে দেখেন একেরপর এক ঝাঁ চকচকে গাড়ি রয়েছে গ্যারেজে।
এখনও আরও ৪দিন অনুব্রত CBI হেফাজতে থাকবে। অসুস্থ বলে জামিনের আর্জি করেছিলেন কিন্তু আদালত থেকে রীতিমতো খারিজ করে দিয়েছে সেই আবেদন। সিবিআই-এর বিশেষ আদালত বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। ফের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ২৪ অগস্ট শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতের সাফ কথা যে ওনাকে অনেকবার ডাকা হয়েছে কিন্তু উনি আসেননি। যদিও গ্রেফতার হয়েও তিনি কোনও সাহায্য করছেন না। অনুব্রত প্রভাবশালী আর তাই তিনি প্রমান লোপাট করতে পারে। ফের আসানসোল আদালত থেকে নিজাম প্যালেসের দিয়ে রওনা হয়ে যায় সিবিআই রায়ের পরেই।