নিজের স্ত্রীর পরপুরুষের সাথে যৌনতায় উন্মত্ত হচ্ছেন। আর স্বামী নিজের চোখের সামনে এসব দেখেও ক্যামেরা বন্দি করছেন সেই সব দৃশ্য! এরপর আপলোড হচ্ছে বিভিন্ন পর্ন সাইটে। তাও আবার স্ত্রীর সম্পূর্ণ সহমতেই! বেঙ্গালুরু পুলিশ রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছে এই ঘটনা জানার পর। ওই অভিযুক্ত যুগলকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ ও ৬৭এ ধারায় বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
কিন্তু কেন এমন কাণ্ড করতেন ৩২ বছরের বিনয় কুমার ও তাঁর ২৭ বছরের স্ত্রী? পুলিশের কীভাবেই বা তা নজরে এল? আসলে এই কাণ্ড করছিলেন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই। অভিযুক্ত বিনয় জানিয়েছেন, অন্য রকম ভাবে জীবনকে উপভোগ করতেই এমন করতেন তাঁরা। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি স্ত্রীর নানা রকম নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে আপলোড করতেন। এবং তা স্ত্রীর সম্পূর্ণ সম্মতিতেই করতেন।
পুলিশ আরও জেনেছে, টুইটারে বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘ বিনয় গ্রাহক’দের আহ্বান করতেন। সেই সঙ্গে এমনকী স্ত্রীর ছবি, ভিডিও দিতেন। টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে বলা হত আগ্রহীদের। তারপর তাঁদের সিঙ্গাসান্দ্রা অঞ্চলের বসতবাড়িতেই পুরোদমে শুটিং চলত। ক্যামেরায় ধরে রাখতেন অচেনা আগন্তুকের সঙ্গে স্ত্রীর রতিক্রিয়া বিকৃতকাম বিনয়। তবে তাঁরা সকলেই পুলিশের নজর থেকে বাঁচতে রঙিন মুখোশ পরে থাকতেন।
জানা গিয়েছে, বিনয় ব্যবসায়ী। বেসরকারি এক সংস্থায় তাঁর স্ত্রীও চাকরি করতেন। তাই তাঁদের এই কাজ করে যে রুজিরোজগার হত না, তা পরিষ্কার। মনে করা হচ্ছে, এই ধরনের কাজ করতেন ওই দম্পতি মূলত এক ধরনের বিকৃতকাম থেকেই। দু’টি মোবাইল ও রঙিন মুখোশ পেয়েছে পুলিশ তাঁদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে। ডিসিপি যোশী জানিয়েছেন, ” পর্ন আপলোড করা অপরাধ সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমরা পদক্ষেপ করব এই ধরনের ব্যক্তির বিরুদ্ধে।”