বছর ৭০ এর এক বৃদ্ধের বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল । একাই বাড়িতে থাকতেন তিনি । সে বাড়িতে তাঁর সঙ্গী বলতে একমাত্র সঙ্গী ছিল তার পোষ্য উন্নিকুট্টন। আর তাকে নিজে হাতে খাওয়ানো থেকে স্নান করানো থেকে শুরু করে সব কাজই করিয়ে দিতেন কেনাক্কল কেকে সোমন। এক দুর্দান্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল দুজনের মধ্যে।
সুমন বাবু পুলিশে চাকরি করতেন । পোষ্য উন্নিকুট্টনকে নিয়েই কেরলের ইদুক্কিতে থাকতেন তিনি। গত রবিবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বাথরুমে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর নিজের পোষ্যকে বাথরুমে স্নান করতে গিয়ে। আর তার পর থেকে পোষ্য উন্নিকুট্টন সোমনের পাশেই বসেছিল। এক বারের জন্যও তাঁকে ছেড়ে নড়েনি সে।
উমেশ সোমনের জামাই জানিয়েছেন, যে শশুর কে অনেকবার ফোন করেছেন শনিবার রাত্তিরে কিন্তু কোন সাড়া পাননি তিনি সারারাত । শ্বশুরবাড়িতে যান তিনি রবিবার সকালে। ঊমেশ বলেন, “শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খোলা দেখি। সেই ঘরে লাইট, ফ্যান চলছিল। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না শ্বশুরের।” তিনি আরও বলেন, “যেন কোনও পরিচিতির জন্যই উন্নিকুট্টন অপেক্ষা করছিল। বাড়িতে আমি ঢুকতেই ও আমার কাছে ছুটে আসে। তখনও আসলে কী ঘটেছে বুঝতে পারিনি।”
তারপরই আমাকে আমাকে উন্নিকুট্টুন বাথরুমে যেতে জোর করে। ঊমেশ জানান, বাথরুমের দিকে উন্নিকে অনুসরণ করে যেতেই চমকে ওঠেন। আর সেখানে দেখেন শ্বশুর সোমন নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন। সাথে সাথেই তিনি প্রতিবেশী এবং পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ আসার পর যখন দেহটি উদ্ধার করতে যায় তখন উন্নি হিংস্র হয়ে ওঠে। সে সোমনের দেহ কিছুতেই নিয়ে যেতে দিচ্ছিল না। পুলিশকর্মীরা বাথরুমের দিকে এগোতেই উন্নি তাঁদের কামড়াতে যায়। ঊমেশ বলেন, “শ্বশুরের কাছ থেকে সারা রাত ধরে সরেনি উন্নি। যদি কেউ পরিচিত আসে, তাই অপেক্ষা করছিল দেহ আগলে বসে। আমি ওকে শান্ত করিয়ে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখি। পুলিশ তার পর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”