একটি হোটেল থেকে যৌনদাসী হিসেবে আটক করে ৩৫ জন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ কার্যক্রম চালায়। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে রাইফেল, কার্তুজ ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি নাইজেরিয়ার আনামব্রা রাজ্যের।
Punchng.Com-এর রিপোর্ট অনুসারে, Anambra রাজ্য পুলিশ ইদেমি উত্তর স্থানীয় সরকার এলাকার এনকপোরে গ্যালি-গ্যালি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩৫ জন নারী উদ্ধার করেছে। এসব মেয়ের বেশির ভাগই নাবালক। তাদের হোটেলে বন্দী বানিয়ে রাখা হয়েছিল।
আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এ অভিযান চালায়। অভিযানে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহৃত প্রায় ৩৫টি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে চারজন এমনকি গর্ভবতী।
যে হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে মেয়েদের পাচার করা হচ্ছিল বলে জানানো হয়েছে। চোরাচালান করা টাকার কিছুটা এক ‘ম্যাডামের’ কাছে যেত, যিনি বর্তমানে হোটেল মালিকের সঙ্গে পলাতক রয়েছেন।
তিনজনকে আটক, অস্ত্র-কার্তুজ উদ্ধার:
হোটেল থেকে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। যেখানে দুজনকে হোটেলের প্রহরী এবং একজনকে হোটেলের সহকারী ব্যবস্থাপক বলা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি রাইফেল, সাতটি কার্তুজ ও দেড় লাখের বেশি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা জানায়, তাদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা হয়েছে। কয়েকজন মেয়ে জানান, সেলস গার্ল হিসেবে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে তাদের এখানে এনে বন্দী করে রাখা হয়।
একটি মেয়ে বলেছে, একটি মেয়ে যখন গর্ভবতী ছিল এবং একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তখন তার সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। হোটেলে কড়া নিরাপত্তার কারণে কেউ পালাতেও পারেনি। একদিন, এমনকি ২০ জন পুরুষের সাথে একটি মেয়েকে পাঠানো হয়েছিল।
এই বিষয়ে রাজ্যের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মেয়েদের পুনর্বাসন শিবিরে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের আদালতে হাজির করা হবে। তিনি জানান, পুলিশের দল হোটেলে অভিযান চালালে হোটেল মালিক ও আর এক ব্যক্তি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।