টিকাকরণ থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কালনার এক স্কুল পড়ুয়া চিরদিনের মতো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই । পরিবারের মতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পরে ওই স্কুল ছাত্র। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যতক্ষণ না হাতে আসছে কিছুই বলা যাচ্ছেনা আসল কারণ হিসেবে।
সারা দেশে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকাকরণ। এ রাজ্যেও শুরু হয়েছে সারা দেশের পাশাপাশি ১৮ বছরের নীচে টিকাকরণ। কালনার সিংহজুলি সমুদ্রগঢ়ের সিংহজুলি হাই মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ইউসুফ মোল্লাও গত ছয় জানুয়ারি করোনা টিকাকরণের প্রথম ডোজটি নেয়। টিকা নেওয়ার পরই ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে এমনটাই মৃতের পরিবারের দাবি। বাড়িতে পেটে ব্যথার সমস্যার কথা জানায় শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করার পাশাপাশি সমুদ্রগঢ় পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বনপুকুর এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্র।
তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালেও নেওয়া হয় অবস্থা অবনতি হওয়ার পর। এরপর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ইউসুফ বাড়ি ফেরে।
জানা গিয়েছে ইউসুফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বৃহস্পতিবার রাতে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপরই ভ্যাকসিনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের বলে মৃতের পরিবার দাবি করে। এও জানিয়েছেন মৃতের এক আত্মীয়, খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল ওই পড়ুয়া ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই, তাকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এবং পরে কালনা হাসপাতালে। কিন্তু তাকে স্যালাইন কোথাও দেওয়া হয়নি।
মৃতের আরেক এক আত্মীয় নাসরুল শেখের দাবি, মৃত্যু হয়েছে ভ্যাকসিনের কারণেই। আমাদের বাচ্চা সুস্থ ছিল ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে পর্যন্ত, কোনও সমস্যাই ছিল না, প্রাণবন্ত বাচ্চা। ঝাঁপিয়ে পড়ত ইউসুফ গ্রামের লোকের বিপদে আপদে। খেতে পারছিল না কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই, পেটে ব্যাথাও শুরু হয়। পায়ে ব্যথা শুরু হয় তারপর, হাঁটাচলাও বন্ধ হয়ে যায় ওর। অবস্থার উন্নতি হয়নি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যে কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিস।