কোথায় আছে শখের দাম লাখ টাকা। শখের জন্য মানুষ কি না করে? কিন্তু সেই শখ পূরণ করতে গিয়ে যদি দেখেন পড়েছেন ভূতের খপ্পরে? তাহলে? এমনটাই হয়েছে সারা উইভার নামের এক মহিলার সাথে। কিন্তু কি এমন শখ যা পূরণে ভূতের খপ্পরে পড়তে হয়? সারার শখ ছিল নিজস্ব একটা ফার্ম হাউসের। সেই মতন একটা ফার্মহাউসও কিনেছিলেন সারা উইভার নামের সেই মহিলা। কিন্তু কেনার কয়েক দিনের মধ্যেই বিপত্তি। বাড়ির দেওয়াল থেকে ভেসে আসছে অদ্ভূত সব ভৌতিক আওয়াজ। সেই ভুতুড়ে আওয়াজের ঠেলায় টেকা দায়। আতঙ্কে রীতিমত সেই ফার্ম হাউস ছেড়ে পালানোর অবস্থা হল গৃহকর্ত্রী সারার। চলে যাওয়ার আগে এক শেষ চেষ্টা চালান। ডেকে পাঠান এক তদন্তকারী দল। তারা রহস্য উদঘাটনে নেমে রীতিমত চমকে ওঠেন।
আসলে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার অবস্থিত ১৪৯ বছরের পুরনো একটি ফার্মহাউস কিনেছিলেন সারা। সারা জীবনে যা উপার্জন করে সঞ্চয় করেছিলেন তার বেশিরভাগটাই খরচ করে ওই ফার্মহাউস কিনেছিলেন তিনি। কিছুটা সস্তায়ই পান তিনি এই ফার্ম হাউসটি। সারা এই ভেবে ভীষণ খুশি হন যে তার নিজস্ব ফার্মহাউসের স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে। শুধু যে তাতেই খুশি ছিলেন তাই নয়, তিনি যে টাকায় এই ফার্মহাউসটি পেয়েছিলেন তাতেও ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই বাড়ি কেনার পর শানিতে বসবাস খুব বেশি দিন স্থায়ী হল না। নিজের পরিবার নিয়ে সদ্য কেনা ফার্মহাউসে বসবাস শুরু করার দিন কয়েকয়ের মধ্যেই মাঝ রাতে বাড়ির দেওয়াল থেকে ভেসে আসতে থাকে অদ্ভুত সব আওয়াজ। দেওয়াল থেকে কি করে এমন শব্দ ভেসে আসে এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমন ঘটতেই থাকে। মাঝে মাঝেই শোনা যায় সেই ত্রাস সৃষ্টিকারী শব্দ। কোথা থেকে কি ভাবে এই শব্দের উৎপত্তি ভেবে তোলপাড় করেন তারা। অবশেষে ভাবেন এখানে আর না। চলেই যাবেন।
ফার্মহাউসের আগের মালিক সারা কে বাড়ির দেওয়ালের সেই ‘ভৌতিক’ আওয়াজের রহস্যটাও বিক্রী করার আগে লুকিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সারা সিদ্ধান্ত নেন একবার অনুসন্ধান করে দেখার। সেই মত একটি তদন্তকারী দল এসে তন্ন তন্ন করে গোটা বাড়ি খোঁজা শুরু করে। তাদের তদন্তেই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দেখেন ফার্মহাউসের বাকইয়ার্ড এর দেওয়ালে বাসা বেঁধেছে প্রায় ৪ লক্ষ মৌমাছি! সেই অগুন্তি মৌমাছির গুঞ্জনেই অদ্ভুত আওয়াজ হত আর মনে হত তা দেওয়াল ভেদ করে আসছে বলে তদন্তকারীরা জনিয়েছেন। আর সেই আওয়াজ ভয় ধরানোর পক্ষে ষথেষ্ট ছিল।
তার থেকেও চমকপ্রদ তথ্য এই যে ফার্মহাউসটি সস্তায় পেলেও ওই ৪ লক্ষ মৌমাছিকে তাড়াতে গিয়ে ওই সারা উইভার নামক মহিলার ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, গত ৩৫ বছর ধরে ওই ফার্মহাউসে বাসা বেঁধেছিল মৌমাছি।