বিশ্বের আদি এবং অনন্ত পরিণাম যৌনকামনা। এ নিয়ে রাখঢাকের চেষ্টার কোনও কমতি নেই আমাদের দেশে । লজ্জায় মরি মরি। অথচ যৌনতাকে শিল্পের মর্যাদা দিয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরাই । বাৎস্যায়নের কামসূত্র যার জলজ্যান্ত উদাহরণ। সুনিপুণভাবে ব্যাখ্যা এবং বিবরণ রয়েছে যৌনতার প্রত্যেকটি কলার, এই গ্রন্থে। বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা। এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে পশ্চিমের দেশগুলিতে। অথচ এই বই পড়তে গেলে মলাট দিয়ে পড়তে হয় আমাদের দেশে। না যে লোকে দেখে ফেলবে।
অথচ সেই প্রাচীন যুগের মানুষগুলো কিন্তু এতটা খুঁতখুঁতে বা ভয়ভীত ছিলেন না যৌনতা নিয়ে । বরং সঙ্গীর সঙ্গে নতুন নতুন পরীক্ষায় সচেষ্ট হতেন যৌনতা নিয়ে । তখন যৌনকলা বলা হত যৌনতাকে। অর্থাৎ শিল্প।
এর চাহিদা অনেক আধুনিক যুগেও। কিন্তু অনেকেরই সঠিক জ্ঞান বা সাহস নেই। তাছাড়া কজনের যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দমও আছে বলুন? আবার অনেকেই আছেন নতুন নতুন চিন্তাভাবনার ব্যবহার করতে চান কিন্তু জ্ঞান এবং নিজের ও সঙ্গীর নানা দ্বিধার কারণে সেসবকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন না। তাহলে বলব রোজ রোজ ডাল ভাত মাছের ঝোল তো খান। মাঝে মাঝে বাড়িতেই বিরিয়ানি, চিকেন তন্দুরি বানিয়ে নিলে কেমন হয়? রান্নার রেসিপি শিখে নিলে এবং মনে শিল্পভাব থাকলে বাড়িতেই যৌনকলায় পরিণত করা যায় যৌনতাকে। কোনও বসন্তসেনা কিংবা মেনকার প্রয়োজন হয় না তার জন্য ।আর নিত্য নতুন যৌনকলার অভ্যাসে শরীরের সঙ্গে যে মনের খিদেও মিটবে এটা হলফ করে বলতে পারি।
পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বেছে নিতে বাড়ির সবচেয়ে সৃজনশীল এবং ইউনিক জায়গাগুলি। সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষাও। এও কিন্তু একধরনের অ্যাডভেঞ্চার।