আজকালকার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এইসব সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে দুই ধরনের কাপল হয়। এক ধরনের কাপল হয় যাঁরা সবই জানেন বা দেখে থাকেন যেমন একে অপরের কথোপকথনের মেসেজ, সোশ্যাল মিডিয়া, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি । আরেক ধরনের হয় যাঁরা মোটেই শেয়ার করেন না এসব। কিন্তু তাই বলে জেলে যেতে হবে স্ত্রীকে আরেক স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর মেসেজর কথোপকথন পড়ায়? আজ্ঞে হ্যাঁ। ঠিক এমনটাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (United Arab Emirates) হল।
ওই মহিলাকে ৮,১০০ AED জরিমানা করা হয়েছে। যা প্রায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা দাড়ায় ভারতীয় মুদ্রায়। শুধু জরিমানা করেই খান্ত হয়নি সংযুক্ত আরব আমিরশাহের ওই আদালত, সেই সঙ্গে এক মাসের কারাদণ্ডের বিধান দিয়েছে তাঁর। এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে ইমারত আল যৌম নামের এক সংবাদপত্রে।
ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আরব আমিরশাহির এক মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামী মামলা করেছিলেন। যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল সেই মহিলা ওই ব্যাক্তির দ্বিতীয় এবং বর্তমান স্ত্রী। তার স্বামীর অভিযোগ ছিল, তাঁর বর্তমান স্ত্রী তাঁর সঙ্গে আরেক স্ত্রী এবং কন্যাসন্তানের কি কি কথোপকথন হয় সেই সমস্ত মেসেজ লুকিয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁদের মধ্যেকার বিভিন্ন ই-মেলও গোপনে পড়তেন।
অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্কে অবনতি হয় দ্বিতীয় স্ত্রী তাদের মেসেজ গোপনে পড়ার ফলে। প্রথম স্ত্রীর সাথে ডিভোর্সও তাঁদের হয়ে যায়। এই কারণে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন ক্ষতিপূরণ বাবদ। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তি তাঁর বকেয়া পণও মিটিয়ে দিতে হবে বলেও দাবি করেন।
আদালত ওই মহিলা কে শাস্তি দিয়ে এটা বলেছে যে বিনা অনুমতিতে অন্যের মেসেজ পরে দোষী মহিলা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কঠোর গোপনীয়তা আইন উলঙ্ঘন করেছেন যা কাউকে গোপনে অন্য ব্যক্তির মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের মধ্যে কি তথ্য আছে তা ঘেঁটে দেখতে নিষেধ করে।