Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

শুধু রূপকথায় নয়, এক সময় পৃথিবীর বুকে সত্যি সত্যিই উড়ে বেড়াত ড্রাগন! মিলল খোঁজ

চীন কিংবা জাপানের প্রাচীন রূপকথার গল্পে ড্রাগনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশাল আকারের প্রাগৈতিহাসিক এই কল্পিত প্রাণীটিকে নানা কল্প কাহিনীর সিনেমাতেও দেখা যায়। রূপকথার বর্ণিত এই সরীসৃপ প্রাণীটি মুখ দিয়ে আগুন বের হয়, আবার বিশাল ডানা মেলে উড়তেও পারে। মুখ থেকে আগুনের হল্কা বের হওয়া রূপকথার ড্রাগনের মতো না হলেও কোটি কোটি বছর আগে এক প্রজাতির সরীসৃপ ডাইনোসর পাখির মতোই পৃথিবীর বুকে উড়ে বেড়াত। জানা গেছে দক্ষিন আমেরিকার দেশ চিলির আতাকামা মরুভূমির উপরে কোটি কোটি বছর আগে উড়ে বেড়াত এই ডানাওয়ালা বিশাল সরীসৃপ প্রাণী।

প্রায় ১৬ কোটি বছর আগের এই ‘উড়ন্ত ড্রাগনে’র জীবাশ্ম সম্প্রতি পাওয়া গেছে। সরীসৃপ প্রাণী হওয়া সত্ত্বেও যেহেতু তারা উড়তে পারত তাই বিজ্ঞানীরা অতিকায় সেই ডাইনোসরের নাম দিয়েছেন উড়–ক্কু ড্রাগন। চিলির আতাকামা মরুভূমিতে বিজ্ঞানীরা খোঁজ পেয়েছেন সেই উড়ুক্কু ড্রাগনের জীবাশ্ম এর। এত দিন জীব বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল জুরাসিক যুগের এই ডাইনোসর শুধুমাত্রই উত্তর গোলার্ধেই বিচরণ করে বেড়াত। তারপর হয়ত কোনো কারণে তারা দক্ষিণ গোলার্ধে আসে। চিলির বিশাল আতাকামা মরুভূমি সেই যুগে সময় প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে ছিল। কয়েকশ কোটি বছরে পৃথিবী রূপ পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রতট ক্রমে বালি ও পাথরে পরিপূর্ণ শুষ্ক একটি অঞ্চলে পরিনত হয়, যাকে চাঁদের পৃষ্ঠের সাথে তুলনা করেন বিজ্ঞানীরা।

উড়ন্ত এই ডাইনোসর আদিম টেরোসরাসের অন্তর্গত ছিল, যারা প্রায় ১৬ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে ঘুরে করত। আকৃতিতে এরা ছিল সুবিশাল। শরীরে ছিল দীর্ঘ লেজ, সাথে বড়ো ডানা শরীরের দুপাশে বেরিয়ে থাকত। মুখের সামনে থাকত তীক্ষ্ণ দাঁত। এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন আতাকামা ডেজার্ট মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টরি অ্যান্ড কালচারের অধিকর্তা ওসালদো রোজাস। এরপর দক্ষিণ আমেরিকার চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই জীবাশ্ম এর উপর গবেষণা চালান। দক্ষিণ গোলার্ধে উড়ুক্কু এই ড্রাগনের অস্তিত্ব খোঁজ মেলার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে জীবাশ্মবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা এক পত্রিকায়। চিলিতেও খোঁজ মেলা সবচেয়ে প্রাচীন টেরোসরের জীবাশ্ম এটি। এর আগে অবশ্য উত্তর গোলার্ধ্বে এই জাতীয় ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছিল। দক্ষিণ গোলার্ধে এই জীবাশ্মের খোঁজ মেলায় বিজ্ঞানীদের সামনে আরেকটি বিষয় উন্মুক্ত হল। উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধ্বের মধ্যে আদিম যুগে প্রাণীদের স্থান পরিবর্তন করত এই বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া গেল।

Related posts

নোট বাতিলের কথা জানেন না! পুরনো নোটে ৬৫ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে অথৈ জলে অন্ধ ভিক্ষুক

News Desk

বিয়ের প্রতি মোহ ভঙ্গ হচ্ছে চীনের মানুষের! হ্রাস পাচ্ছে বিয়ের সংখ্যা! দেখা দিচ্ছে জটিল সমস্যা।

News Desk

প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হারে সর্বকালীন রেকর্ড ১০০ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন ৭৯

News Desk