বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগ। এমন কোনো মানুষ হয়ত পাওয়া যাবে না যে কিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত নয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজিটাল দুনিয়ার আড়ালে প্রচুর মুখোশধারী ক্ষতিকারক মানুষের সংখ্যাও কম কিছু নয়। তাই অনলাইনে কারো সাথে বন্ধুত্ব করার আগে বা ঘনিষ্ঠ হবার আগে অথবা নিজের বিষয়ে গোপন তথ্য দেওয়ার আগে বারবার সতর্ক হবার কথা বলে প্রশাসন। কেননা সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় অনেক মানুষের জন্য ইদানিং বিপদ ডেকে আনছে। কিছুটা এমনি হয়েছে পাঞ্জাবের এক তরুণীর সাথে।
জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঞ্জাবের ওই মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করার পর তাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ধোলপুরে ডাকা হয়। এরপর তাকে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া কাউকে কিছু জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। এরপর ধলপুর মহিলা থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতা তরুণী।
মহিলা স্টেশন ইনচার্জ মঞ্জু ফৌজদার জানিয়েছেন, ধোলপুরের মাচকুন্দ রোডে বসবাসকারী অভিযুক্ত যুবক মণীশ ভার্মা ফেসবুকে পাঞ্জাবের শহর মোহালির বাসিন্দা একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। এরপর ১০ আগস্ট চাকরি দেবে এমন অজুহাত দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধলপুরে ডেকে আনে অভিযুক্ত যুবক মণীশ ভার্মা।
এরপর অভিযুক্ত মেয়েটিকে জগন চৌরাহা ধোলপুরের কাছে একটি রেস্তোরাঁয় নিয়ে যায় যুবক। যেখানে অভিযুক্তরা মেয়েটিকে জোর করে ধর্ষণ করে। মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নির্যাতিতা মেয়েটি জানিয়েছে তার বাবা মারা গেছেন। এখন পরিবারে আর্থিক সংকট রয়েছে। যার কারণে তার একটা চাকরির প্রয়োজন ছিল। আর তার এই সমস্যাটি সুযোগ তোলে অভিযুক্তরা। অভিযুক্তরা ফেসবুকের মাধ্যমে ওই তরুণীর সাথে পরিচয়ের পর তাকে চাকরি পাওয়ার বিষয়ে সাহায্য করবে বলে তার নাম্বার নেয়। মোবাইল নম্বর পেলে ফোন কলে কথা বলে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে মেয়েটিকে ফাঁদে ফেলে। তার ধোলপুরে ডেকে ধর্ষণ করে ও কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।