উল্টো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায়। যদিও সঙ্গে সঙ্গে সেই ভুল নজরে এলে পুনরায় পতাকা উত্তোলন করা হয় পতাকা নামিয়ে এনে ভুল সংশোধন করে। কিন্তু ততক্ষণে সবার নজরে চলে এসেছিল বিষয়টি। আর চারিদিকে ছিঃ ছিঃ রব পড়ে গিয়েছে এরপর থেকেই।
এদিন মোহবনী গ্রামে একটি শহীদ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল ক্ষুদিরাম বসুর ১১৪ তম বলিদান দিবস উপলক্ষে। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা আমন্ত্রিত ছিলেন । মোহবনীর জেলাশাসক রেশমী কমল অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন । এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্ট নেতা-নেত্রীগণ। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, জেলাশাসক রেশমি কমল, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিতর্ক সৃষ্টি করেন তাঁরা অনুষ্ঠানের শুরুতেই উল্টো পতাকা উত্তোলন করে। তবে বিষয়টি নজরে আসে পতাকা উত্তোলন করার পর দড়ি বাঁধতে গিয়ে। আর এরপরই শুধরে নেওয়া হয় ভুল ।
যদিও এই বিষয়ে মন্ত্রী শিউলি সাহা জানিয়েছেন, ” পতাকা উল্টো তোলা হয়নি। সাংবাদিকরা ঠিকমতো পতাকা তোলার আগেই ছবি, ভিডিও করে নিয়েছে। তাঁরা খবর করে নিয়েছিল আমাদের পতাকা তোলার আগেই। দেখে নেওয়া হচ্ছিল পতাকা ঠিক করে লাগানো হয়েছে কি না তোলার আগে। সময় মতো পতাকা সোজা ভাবে উত্তোলন করা হয়েছে নিয়ম মেনেই। প্রচার করা হচ্ছে মিথ্যে।”
এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। ওই জেলার জেলাশাসক ও রাজ্যের এই মন্ত্রী এই ঘটনাকে ঘিরে চরম অস্বস্তিতে জড়িয়েছেন। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক রেশমি কমলকে ফোন করা হলে, তিনি রাজি হননি কথা বলতে ।
ইতিমধ্যেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে। তাঁদের কথায়, এই অবস্থা দেশের প্রতি শ্রদ্ধা-মর্যাদা না থাকার জন্যই। তাঁরা জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই ঘটনার রেশ বহুদুর গড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে বিরোধীদের মন্তব্যের জেরে।