Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

মহাসমারোহে বিয়ে হল বট ও পাকুড়গাছের , আমন্ত্রিত দেড় হাজার গ্রামবাসী!

বিবাহ ঘিরে গ্রামে মহা ধুমধাম। পাত্রীর নাম বনলতা আর পাত্রের নাম বিজয়। আর এদের বিয়ে ঘিরেই আমন্ত্রিত কম করে দেড় হাজার লোক! ভাবছেন কারা এরা? কোনো সেলিব্রিটি কিনা। না এরা সেলিব্রিটি তো দূর কোনো মানুষই নন। এঁরা গাছ। পাত্র বিজয় বটগাছ এবং পাত্রী বনলতা একটি পাকুড়গাছ। আর এদের বিয়ে ঘিরেই প্রচুর আলোচনা বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজশাহী জেলায়। সেই জেলার একটি প্রাচীন মন্দিরে হয়েছে এই এলাহী বিয়ের আয়োজন।

বিয়ের পর প্রচুর খাওয়াদাওয়াও করানো হয়। যা ঘিরে আপাতত চর্চা সবার মধ্যে। কারণ, গাছের এত ঘটা করে বিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। ‘দম্পতি’র বউভাতে কব্জি ডুবিয়ে খেলেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তথ্য সূত্র সংবাদ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদন।

শনিবার রাজশাহীর (Rajshahi) খড়খড়ি বাইপাসে শ্রী শ্রী গোপালদেব ঠাকুরের মন্দির নারায়ণ পুজোর দ্বারা এই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ১৭ বছর পূর্বে মন্দির চত্বরে পাশাপাশি লাগানো হয়েছিল এই গাছ দুটি। হিন্দু শাস্ত্রমতে, পাশাপাশি বট ও পাকুড় গাছ থাকলে তাদের বিবাহ দিতে হয়। এই রীতি অনুযায়ী শনিবার দুটি গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ে ঘিরে বর-কনে রূপি দুটি গাছের আশেপাশে বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়। পুরো মণ্ডপ সাজানো হয় আলো দিয়ে। হিন্দু রীতিনীতি অনুযায়ী কলাগাছ দিয়ে সাজানো ছিল বিয়ের আসর।

এই বিয়েতে বটের অর্থাৎ পাত্রের বাবা-মা হিসাবে ভূমিকা পালন করেছেন বিধানচন্দ্র সরকার ও আরতি রানি সরকার। আর পাত্রী পাকুড়ের বাবা মার ভূমিকা পালন করেছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার ও মা হয়েছিলেন কনিকা রানি সরকার। মন্দির কমিটির লোকজন এদের নাম চূড়ান্ত করেন পাত্র পাত্রীর বাবা মা হিসাবে। রান্না বান্না, গান বাজনা নিয়ে মেতে ছিল গোটা গ্রাম। স্থবির ছিলেন শুধু দুজন, বর-কনে। একই জায়গায় তারা দাঁড়িয়েছেন।

সন্ধ্যে নামতেই আসে বরযাত্রীরা। জল বাতাসা সহযোগে তাঁদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। জমে ওঠে বিয়ের আসর। পুরোহিত পুলক আচার্য বিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। গোধূলি লগ্নে মন্ত্র পড়ে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছেন তিনি।

বিয়ের এই অনুষ্ঠানে হাজির অথিতিদের খাওয়ানো হয় পোলাও, তরকারী আর পায়েস। সঙ্গে ছিল জলপাইয়ের আচার। ধুমধাম করে এই বিয়ের বিষয়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার বলেন, ”হিন্দু শাস্ত্রে আছে, বট-পাকুড় গাছ পাশাপাশি থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। সেই অনুযায়ী এই আয়োজন। বট-পাকুড় এখন আজীবন এভাবে পাশাপাশি থাকবে, এটাই আমরা চাই।”

Related posts

কোনওভাবে ছিটকে পড়ে কোলের শিশু, কালবৈশাখী ঝড়ে মর্মান্তিক পরিণতি মহিলার

News Desk

সামান্য রসমালাই নিয়ে বিয়েবাড়িতে তুমুল অশান্তি! ডাকতে হলো পুলিশ, ঘটনাটা কি?

News Desk

সত্যিই কী তিনজনে একত্রে যৌনতা মানে তিনগুণ আনন্দ! এই বিষয়গুলি তৈরী করবে সমস্যা

News Desk