মদের নেশা অনেক পরিবারকে শেষ করে দেয়। এই কথা প্রায় সকলেরই জানা। নেশার বশবর্তী হয়ে মানুষ এমন এমন কাজ করে যা দেখলে মনে হয় এর থেকে লজ্জাজনক কাজ আর কিছু হতে পারে না। এমনই এক ঘটনা উত্তর প্রদেশের।
উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায় এক মদ্যপ বাবা তার বিবাহযোগ্য মেয়েকে বিয়ের নামে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি তার স্ত্রী জানতে পারলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এতে স্ত্রীকে হেনস্থা করেন ওই ব্যাক্তি। স্ত্রীর সিঁদুর ধুয়ে, চুল কেটে নির্যাতন চালায় ওই ব্যাক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নজরে এসেছে এবং তদন্ত চলছে।
সদর কোতয়ালী এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বিদেশে চাকরি করে। কিছুদিন আগে সে তার বাড়িতে এসেছে। তার স্ত্রীর অভিযোগ, তার স্বামী মদ্যপ। তার পাঁচ মেয়ে আছে এবং সে নিজেও ভীষণ খেটে কাজ করে সংসার চালায়। অনেক জায়গায় বড় মেয়ের বিয়ের কথা চলছে। এরই মধ্যে মোরাদাবাদে বিয়ের নামে মেয়েকে বিক্রি করার চুক্তি করেন তার স্বামী। ওই মহিলা জানান “বিষয়টি জানতে পেরে আমি প্রতিবাদ করি। এরপরই আমার স্বামী আমাকে মারধর করে, লাঞ্ছনা করে।”
২৩শে জুন রাতে ওই গৃহবধূ প্রতিবাদ করলে স্ত্রীর দাবি তার স্বামী প্রথমে তার সিঁথির সিঁদুরে জল ঢেলে দেয়। এরপর চুল কেটে ঘরের বাইরে নিয়ে গিয়ে ঘোরায়। এখানেই না থেমে অভিযুক্ত পাঁচ মেয়েকে মারধরও করে এবং বাড়ির বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেয়। সকালে মহিলার মামা এসে তাকে উদ্ধার করে। ওই মহিলা কে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পথে তার স্বামী তাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। এরপর পথচারীরা হস্তক্ষেপ করেন। মহিলা বলেন, তার স্বামী সব সময় বড় মেয়েকে সন্দেহ করে। কিন্তু বাস্তবে বড় মেয়ে জীবন সংগ্রাম করে বড় হয়েছে। সদর কোতোয়াল অনুজ কুমার সিং জানান, বিষয়টি নজরে এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।