বৌদির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন যুবক! তাদের প্রেম পর্ব চলেছিল দুই বছর ধরে! কিন্তু, হঠাৎ মন পরিবর্তন করলেন তার সেই প্রেমিকা বৌদি। প্রত্যাখ্যান করলেন দেওর কে। আর সেই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে না পেরে শোকে দুঃখে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করলেন যুবক। যদিও যুবক জলে পড়া মাত্রই রে রে করে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন নৌকার মাঝিরা। তাদের তৎপরতায় জল থেকে উঠিয়ে আনা হয় ওই যুবককে। একটু সুস্থির হতে জল খাওয়ানো হয় সেই যুবককে। দেওয়া হয় বিস্কুটও।
ঠিক কী হয়েছিল? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ শান্তিপুর কালনা ঘাটের একটি ভেসেলে ওঠেন ওই যুবক। সেই ভেসেল মাঝ গঙ্গায় পৌঁছতেই আচমকাই জলে ঝাঁপ দেন তিনি। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান সকলে। কিন্তু দেরি না করে তাঁকে বাঁচাতে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন মাঝিরাও। শেষ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়। জল থেকে তুলে তাঁকে ধাতস্ত করেন মাঝিরাই। তখনই তাদের কাছে ঝাঁপ দেওয়ার কারণ হিসাবে বৌদির প্রেমের সম্পর্কে না করে দেওয়ার কথা জানান ওই যুবক। জানা গিয়েছে যুবকের বাড়ি বর্ধমান জেলার সুলতানপুর এলাকায়।
ওই যুবকের উদ্ধার হওয়ার পর জানিয়েছে, এক বৌদির সঙ্গে ওই দু’বছরের প্রেম করছেন যুবক৷ কিন্তু এখন সেই বৌদি তাদের প্রেমের সম্পর্ক কে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই কারণেই মনের অবসাদে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে সে। কালনা ঘাটের সিভিক পুলিশ কর্মীরা ওই যুবক কে উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে অনুযায়ী জানা গেছে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরতে চাওয়া সেই যুবকের নাম প্রতীক ধর৷
সিভিক পুলিশ ও মাঝিদের কাছে যুবক কবুল করেছে এই ভাবে প্রেম ভেঙ্গে যাওয়া তাঁকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে। সেই জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। একটু থিতু হতে মাঝিদের জোর জবরদস্তি তে এক আধটা বিস্কুট খেয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় প্রতীক নামের সেই যুবক কে। তারপর কালনা ঘাটে কর্তব্যরত সিভিক পুলিশরা যুবকের পরিবারে খবর দেয়। জানা গিয়েছে বর্ধমান থেকে শান্তিপুর এসে যুবককে নিয়ে গেছে তাঁর পরিবার। ঘটনায় কালনা ঘাটে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।