শ্বশুরবাড়িতে তার উপর অত্যাচার হয় এই অভিযোগ তুলে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন দুর্গাপুরের (Durgapur) এক গৃহবধূ তার ছেলেকে নিয়ে। স্ত্রী এবং সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসে তার স্বামী শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধর্নায় বসলেন। শুধু তাই নয়। রীতিমত ফ্লেক্স ব্যানার বানিয়ে তাই নিয়ে ধর্নায় বসলেন স্বামী। তার কাতর পার্থনা স্ত্রী যেন শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসে। এই ঘটনায় কার্যত বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় সেই এলাকায়। দিনভর শ্বশুরবাড়ীর বাইরে ঠায় বসে থাকেন ওই ব্যাক্তি। অবশেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওই ব্যাক্তিকে ধর্না থেকে ওঠান।
সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুর্গাপুরের মায়াপুরের বাসিন্দা অপর্ণা দাস। দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গান্ধীনগর কলোনির বাসিন্দা দেবদুলাল দাস ২০১২ সালে বিয়ে করেন তাকে। প্রথম দিকে দাম্পত্য ঠিকঠাকই চলছিল। ২০১৪ সালে ছেলে জন্মায় ওই দম্পতির। অপর্ণা দাসের অভিযোগ, ছেলে হওয়ার পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। শারীরিক হেনস্থাও করা হয় তাঁকে। বারবার বললেও হয়নি কোনো সমাধান। অবশেষে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান অপর্ণা। অপর দিকে দেবদুলাল দাসের বক্তব্য অনুযায়ী তার স্ত্রীর সাথে কোনও অশান্তি ঝামেলা না থাকা সত্ত্বেও অপর্ণা দেবী তাঁদের ৭ বছরের ছেলেকে সঙ্গে করে শশুরবাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে এসেছেন। বহু অনুরোধ উপরোধেও কিছু হয়নি। অবশেষে উপায়ন্তর না দেখে শনিবার মায়াবাজারে শ্বশুরবাড়ির সামনে হাজির হন দেবদুলাল দাস। সঙ্গে ছিল একটি ব্যানার। তাতে লেখা, “অপর্ণা ফিরে চলো শ্বশুরবাড়িতে। অপর্ণা দাস তাঁর ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে যতদিন না বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে, আমি অপর্ণার বাপের বাড়ির সামনে অবস্থানে থাকব।” দেবদুলাল দাসের সোজাসুজি জানিয়েছেন, স্ত্রী ও সন্তানকে ছাড়া বাড়িতে ফিরবেন না তিনি।
তার ধর্নায় বসার খবর চতুরদিকে ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত ডিটিপি ফাঁড়ির পুলিশ। দেবদুলাল দাসকে হাজার অনুরোধ করলেও তিনি ধর্না থেকে উঠতে রাজি হননি। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। অবশেষে দেবদুলাল দাস ও তাঁর স্ত্রী অপর্ণা দাসকে থানায় নিয়ে যান সমস্যার সমাধান করতে।