মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে, এক ব্যক্তি তার গর্ভবতী স্ত্রীকে মায়ের বাড়িতে রেখে গোপনে আবার বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ। স্বামীকে অন্য নারীর সঙ্গে থাকতে দেখে ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন অভিযুক্তের স্ত্রী। এখন বিচার পেতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা।
ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। সেখানে এক নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করেছে এমন কথা বলেছেন। তাকে না জানিয়েই স্বামী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন এমন অভিযোগ করেছেন মহিলা। স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন মহিলা। স্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত স্বামী তিন মাস আগে তাকে প্রসবের জন্য মাতৃগৃহে রেখে যায়। এরপর থেকে তিনি মায়ের বাড়িতেই থাকে।
আট দিন আগে স্ত্রী ফেসবুকে দেখেন, অন্য এক নারীর সঙ্গে তার স্বামীর ছবি। ওই নারী তার শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, তার স্বামী নাকি পলাতক। ঘটনাটি এয়ারড্রোম থানা এলাকার ছোট বাগার্ডার যেখানে ববিতা পারমার এখন বিচার চেয়ে থানা পুলিশ করছেন স্ত্রী। তিনি জানান, স্বামী রাজেশ পারমার পরিবহনের কাজ করে, সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আবার বিয়ে করেছে।
ওই নারী জানান, ফেসবুকে ছবিটি দেখে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা। ওই নারী জানান, শ্বশুর কানিরামকে ফোন করলে তিনিও চুপ থাকার হুমকি দেন। ভুক্তভোগী মহিলা জানান, স্বামী তাকে অন্য নম্বর থেকে ফোন করে হুমকিও দেন। এখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বলা হয়েছে, ছয় বছর আগে অভিযুক্ত ব্যাক্তির সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। মহিলার ভাষ্যমতে, পরিবারের ইচ্ছায় রাজেশ পারমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ববিতা জানান, তিন মাস আগে প্রথম প্রসবের জন্য তার স্বামী তাকে মায়ের বাড়িতে রেখে চলে যায়। ১৫ দিন আগে ববিতা মাতৃগৃহে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় এবং রাজেশ তার মেয়ের সাথে দেখা করতেও আসেনি। ওই নারী শাশুড়িকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তাকে বলা হয়, তার স্বামী বাইরে গেছেন, কিন্তু হঠাৎ চাচাতো ভাই বিট্টুর ফেসবুক আইডিতে এক অন্য মহিলার সঙ্গে স্বামীর ছবি দেখে তিনি অবাক হয়ে যান।
ওই নারী জানতে পারেন, দুই সপ্তাহ আগে তার স্বামী অন্য আরেকটি মেয়ে আয়েশার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। ববিতার পরিবারের অভিযোগ, অভিযোগের জেরে তার শ্বশুর কানিরাম ও শাশুড়ি শান্তাবাই তাদের হুমকি দিচ্ছেন। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, রাজেশের বাবা-মা জানেন তিনি আয়েশার সঙ্গে কোথায় রয়েছেন। এয়ারড্রোম পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
