স্ত্রী ‘জীবনের মস্ত বড় ভুল করেছে ’, কারণ তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাই তাঁর শাস্তি জুটলো মারাত্বক মারধর। ওই মহিলার স্বামী তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁর অত্যাচার শুনলে শিউরে উঠবেন। স্ত্রীর মাথার সব চুল কেটে দিয়ে তাঁকে ন্যাড়া করে দিয়েছেন ওই অত্যাচারী স্বামী। অবশেষে স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া এই অত্যাচার আর সহ্য না করতে পেরে ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে থানায় যান পুলিশের সাহায্য নিতে। তিনি আরও বলেন যে এই সব অত্যাচার ওনার শ্বশুড়বাড়ির সকলে দাঁড়িয়েই দেখেছে কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার সলুয়া গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে।
পুলিশ জানিয়েছে , ওই নির্যাতিতার নাম রাকিবা বিবি। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করেন তাঁর স্বামী আব্দুল্লাহ শেখ, তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায়। এমনকি তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে নেড়াও করে দেন। তাঁর শশুড়শাশুড়ি সেই দৃশ্য চুপ করেই দেখেছে। রাকিবার কন্যাসন্তান হয়েছে মাস তিনেক আগে। তাঁর অভিযোগ, অত্যাচারের মাত্রা তখন থেকেই বাড়তে থাকে। মেয়ের জন্মের শংসাপত্রের কথা জিজ্ঞাসা করায় দিন সাতেক আগে তাঁর উপর চড়াও হন আবদুল্লাহ। আব্দুল্লা নিজের মেয়েকে হত্যা করার হুমকিও দেন। এরপর একভাবে চলতে থাকে অত্যাচার।
অত্যাচারের সমস্ত সীমা অতিক্রম করায় বৃহস্পতিবার তিনি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান রাকিবা। রাকিবাকে থানার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, “আমার সঙ্গে যা ঘটেছে, আমি চাই না, সেটা আর কারও সঙ্গে ঘটুক। আর কেউ উৎসাহ পাক। আমি চাই, কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক আমার স্বামীকে। যাতে আর কেউ এই রকম কাজ না করতে পারে।’’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন , থানায় রাকিবা অভিযোগ করেছেন শুনে, আবদুল্লাহ বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ দ্রত ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে রাকিবার। তদন্ত শুরু হয়েছে ঘটনারও। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব দিক।