বিহারের গোপালগঞ্জে ছোট ছোট শিশুদের সামনেই তাদের মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার পর মৃতদেহ আখ ক্ষেতে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নিহতের মেয়ে হত্যার রহস্য ফাঁস করে দেয় পুলিশের সামনে। মেয়ের নির্দেশে পুলিশ আখ ক্ষেত থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাটি যাদোপুর থানার চতুর বাগাহা গ্রামের।
মৃত মহিলার নাম পূজা দেবী, তিনি চতুর বাগাহা ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষ্ণা ভার্মার স্ত্রী ছিলেন। চার বছর আগে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, কুচায়কোট থানা এলাকার রামপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ প্রসাদের মেয়ে পূজা দেবীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দম্পতির দুই মেয়ে হয়। পূজার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সোমবার বাপের বাড়ি এসে নিয়ে যাওয়ার পর স্বামী তাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে এসে মঙ্গলবার সারা রাত ধরে মারধর করে। বুধবার সকালে পূজা বাড়িতে ফোন করে তার শাশুড়ি ও স্বামীর এইভাবে মারধরের কথা জানান। কিন্তু পূজার বাড়ির লোকজন ভেবে নেন, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা নেবে। এবং এজন্য তারা পূজাকে বলেন বুধবার তার বাড়িতে আসছেন। কিন্তু এদিকে বুধবার সকালে পূজা দেবীর হত্যার খবর পাওয়া যায়। খুন করেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বাপের বাড়ি থেকে পূজার বাবা ও ভাই যখন বাড়িতে পৌঁছান, তখন অভিযুক্তরা সবাই পলাতক এবং বড় মেয়ে মিঠি কুমারী কাঁদছিল। পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে পূজার দেহের খোঁজে তদন্ত শুরু করে। মেয়ের দেখিয়ে দিলে পার্শ্ববর্তী আখ ক্ষেত থেকে পাওয়া যায় পূজার লাশ। নিহতের ছোট মেয়েকে নিয়ে পলাতক রয়েছে পরিবার। যাদোপুরের এসএইচও মিথিলেশ কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
মহিলার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যার জেরে গলায় ফাঁস লাগানোর ঘটনা স্পষ্ট হচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে, এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করার কথা বলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের খুজেঁ গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।