রাতের অন্ধকারে নিজের নাতনিকেই চুরি করল খোদ তার দাদু। একরত্তি নাতনিকে উঠিয়ে নিয়ে গেল আরেক মহিলার কাছে। কিন্তু কেন! কারণটা বেশ চাঞ্চল্যকর। পুলিশ তদন্তে নামতেই পরিষ্কার হলো পুরো বিষয়টা।
ঘটনাটা ঠিক কী? উত্তর প্রদেশের কাশিম আহমেদ নামক এক ব্যক্তি নিজের চার সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকাই ঘুম ভাঙতে চমকে উঠে দেখেন তাঁদের ছোট একরত্তি মেয়ে ঘরে নেই! কোথায় গেল ভেবে না পেয়ে হুলুস্থূল করে বাবা মা খুঁজতে লাগে তাদের সন্তানকে। বহু খুঁজেও হদিশ না পেয়ে শেষ অবধি পুলিশের কাছে যান তাঁরা। মিসিং ডায়েরি পেয়ে ঘটনার তদন্ত করতে নামে পুলিশ। পুলিশ প্রথমেই ওই এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। আর সেখান থেকে যা দেখা যায় তাতে চমকে ওঠেন সকলে। দেখা যায় আর কেউ নয় শিশুটির দাদু মহম্মদ জাফর নামক এক ব্যক্তি নিজেই অপহরণ করেছেন তার মেয়ের সন্তানকে।
আস্তে আস্তে দিনের আলোর মত বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। পেশায় দিনমজুর ওই ব্যক্তি মোহাম্মদ জাফর জানিয়েছেন, কাছেই থাকে বছর পঁয়তাল্লিশের এক গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর গত তিন বছর ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ওই গৃহবধূ নিঃসন্তান ছিল। প্রেমিক মোহাম্মদ জাফর কে ওই মহিলা বলেছিলেন নিজের মনের কষ্টের কথা। একটি সন্তান চান তিনি। যদি কোথাও থেকে দত্তক নিতে পারেন। এরপরই জাফরের মাথায় আসে তার নাতনির কথা। প্রথমে তিনি গিয়ে নিজের মেয়েকে প্রস্তাব দেন তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে একজনকে ওই মহিলাকে দিতে। মেয়ে শুনেই না করে দেয়। এর পরেই রাতের অন্ধকারে নিজের নাতনিকে অপহরণ করে দাদু।
পুলিশ জাফর, ওই মহিলা এবং মহিলার স্বামী এই তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী ওই বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে বিহারে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁদের জেরা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় এই তিনজন ছাড়া আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চুরি করা শিশুটিকে তার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তারা।