বিয়ের সব প্রস্তুতি সাড়া। পাত্রীপক্ষ অপেক্ষা করছে বরযাত্রীর। তৈরি হয়ে বসে রয়েছেন কনে। কিন্তু বিয়ের আগেই তাকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে গেল। বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও বিয়ের আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সবাইকে থ করে দিয়েছে।
বিহারের ফোর্বসগঞ্জ জেলার গোদিহারে এক শ্রমিকের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন প্রস্তুতির সব ভেঙ্গে গেল। বরযাত্রীর দল কনের বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই কনেকে অপহরণ করা হয়। সাজসজ্জা থেকে নাচ-গান, গান-বাজনা সবই তখন বিফলে। বিয়ে বাড়ি শোকে পরিণত হয়। বর পক্ষ সকাল তিনটা পর্যন্ত কনের জন্য অপেক্ষা করলেও অপহরণকারীরা তাকে মুক্তি দেয়নি।
ঘটনাটি গত ২২শে জুনের। বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কনেকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কনের মা পিংকি দেবী জানান, মেয়ের বিয়ের সব প্রস্তুতি তিনি সম্পন্ন করে ফেলেছিলেন। বরযাত্রীর শোভাযাত্রা আসার কথা ছিল। খুব খুশিতে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, কিন্তু তখন গ্রামের এক যুবক আমার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে।
মা বলেন, কিছু লোক তার মেয়েকে নেশাজাতীয় চা পান করায়। এরপর মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বাইকে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামের লোকজন বসে ছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। আমরা অপেক্ষা করতে থাকি, কিন্তু তা হয়নি। বর পক্ষও সকাল তিনটা পর্যন্ত কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
মেয়ের বাবা সঞ্জয় পাসওয়ান জানিয়েছেন, মেয়েকে অনেক আশা নিয়ে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে দিচ্ছিল তারা। বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল সাধ্য অনুযায়ী। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে সমাজের সব মানুষ উপস্থিত থাকলেও তখন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়। সকল স্বজনদের সামনে তাকে অপমান করা হয়।
এ ক্ষেত্রে ফোর্বসগঞ্জের এসডিপিও রামপুকার সিং জানান, এটি গোদিহরে চকের ঘটনা। গত ২২ শে জুন বরযাত্রী পৌঁছানোর আগেই গ্রামের যুবকরা কনেকে অপহরণ করে। গ্রামের সোনু কুমারের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার বাবা মদের ব্যবসা করেন। থানায় এফআইআর নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, দুজনের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল।