Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

বুকে সাঁটানো রয়েছে স্ত্রীর দুই প্রেমিকের ফটো, যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে মুর্শিদাবাদে

গাছে ঝুলন্ত দেহ, তার বুকে রয়েছে তার স্ত্রীর দুই প্রেমিকের ছবি। ওই মহিলার স্বামীর নিথর দেহ গাছে ঝুলছে । সকাল বেলায় এই ঘটনা দেখে হতবাক মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা। ওই ব্যক্তি নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য এমনটাই মনে করা হচ্ছে যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্ভবত। ওই ব্যক্তির স্ত্রীর একটার পর একটা নতুন সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি, আর সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই এলাকা এতোই উত্তেজিত হয় যে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীয়ের উপর চড়াও হয় তারা। ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে আসে পুলিশ।

মুর্শিদাবাদে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এলাকায়। ওই যুবকের নাম সেলিম শেখ তিনি ভগবানগোলা ছানার অন্তর্গত হাবাসপুর খাস মহল এলাকার বাসিন্দা। আনুমানিক ৩০ বছর বয়স। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে এলাকার একটি আমবাগান থেকে। একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত স্ত্রী দিলরুবা খাতুন আর সেই কারণেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন ওই যুবকের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। 

মৃতের পরিবার এও জানিয়েছে যে , বিয়ের পরেও অনেক পুরুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী করেছিল দিলরুবা। এই বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে অতি সম্প্রতি রাজেশ শেখ এবং জাকির শেখ এই দুজনের নাম যোগ হয়। সেলিমের বুক পকেটে পিন দিয়ে আটকানো ছিল সেই রাজেশ এবং জাকিরের ছবিই। সেলিমের ঝুলন্ত দেহ গাছ থেকে নামানোর পর দেখা যায় তার বুক পকেটে ওই দুজনের ছবি রয়েছে। 

গ্রামবাসীদের তরফে সেলিমের দেহ উদ্ধারের পর সবার রাগ হয় দিলরুবার উপর। তাঁর উপর সকলে মিলে চড়াও হন। সেই কারণে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসে পুলিশ। দিলরুবাকে ওই ভিড়ের হাত থেকে উদ্ধার করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে তাঁকে থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সেলিমের দেহ পাঠানো হয়। 

Related posts

কাটবে না বৃষ্টির দুর্যোগ, মেঘে ঢাকা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে থাকছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

News Desk

কৃষ্ণনগর লোকালে লেডিস কম্পার্টমেন্টে উঠে মহিলাদের কটূক্তি, সোদপুরে স্টেশনে মারধর ৪ যুবককে

News Desk

একদিনেই করোনা সংক্রমণ বাড়লো ২৪ শতাংশ, সাথে বাড়ছে মৃত্যুহার

News Desk