বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে স্বামী ঘটিয়ে ফেললেন নৃশংস ঘটনা। এরপর নিজেই গেলেন পুলিশের কাছে। কি হয়েছে? পড়ুন বিস্তারিত!
মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডি থেকে একটি খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর ঘাতক স্বামী থানায় পৌঁছে নিজেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। থানায় পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশকে জানায় যে সে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে তারপর থানায় আসছে। বাড়িতে তার মৃতদেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং মামলার তদন্ত শুরু করে।
উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার বাসিন্দা মহম্মদ মুস্তাক তার স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে ভিওয়ান্দির কালহের এলাকায় থাকতেন। ১৫ বছর আগে আবিদা খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, তার স্ত্রীর সঙ্গে কারও অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে ধরে ফেলেছিলেন তিনি। ঘরে পড়ে থাকা তার দিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে।
স্ত্রীকে হত্যার পর আসামি সরাসরি নারপোলি থানায় পৌঁছে পুলিশের সামনে পুরো ঘটনা বলার পর আত্মসমর্পণ করে। অভিযুক্তর তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ মোট পাঁচ সন্তান রয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বলছে, স্ত্রীকে হত্যার পর আসামি থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। আসামিকে গ্রেফতার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে ওই বধূর দেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।