ভারতীয় সিনেমা এবং সঙ্গীত জগতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার মতন একটি বড় খবর সামনে এসেছে, যা দুঃখের সাথে জানানো হচ্ছে। ভারতবাসীর প্রিয় এবং সুর সম্রাজ্ঞি লতা মঙ্গেশকর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর খবরে শোকাচ্ছন্ন বিনোদন জগত।
প্রায় এক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। গত ৮ জানুয়ারি লতা মঙ্গেশকর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্র্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লতা মঙ্গেশকরের করোনার সঙ্গে নিউমোনিয়া হয়েছিল। লতা দিদির বয়স দেখে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তি করেন। এরপর থেকে তিনি নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছিল। চিকিৎসা চলাকালীন মাত্র ২ দিনের জন্য তাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে আনা হয়। তারপরে তার স্বাস্থ্যের আবার অবনতি হতে শুরু করলে ফের গতকাল তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আনা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর খবর শুনে তার দেশ বিদেশের কোটি কোটি অনুরাগী এবং তারকারা শোকোস্তব্ধ হয়ে গেছে। সবাই গায়িকার আত্মার শান্তি কামনা করছেন। ভক্তদের চোখ জলে ভেজা। আজ প্রত্যেক ভারতীয়র চোখে জল। লতা মঙ্গেশকরের সুরেলা কণ্ঠস্বর যেন তার ভক্তদের কানে বাজছে। বিশ্বাস করা কঠিন যে ঈশ্বর প্রদত্ত এই কন্ঠ চিরতরে নীরব হয়ে গেছে।
সঙ্গীত শিল্পে লতা মঙ্গেশকরের অবদান অতুলনীয়। যা কখনো ভোলা যায় না। ৭৮ বছরের ক্যারিয়ারে ২৫ হাজার গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। লতা মঙ্গেশকর বহু পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি তিনবার জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ছিলেন। এছাড়াও তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার এবং ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। লতা মঙ্গেশকর মাত্র ৫ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন। যে বয়সে ছেলেমেয়েরা খেলার জন্য লেখাপড়া করত সেই বয়সে গান গেয়ে বাড়ির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি তার ভাইবোনদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিয়ে করেননি।
লতা মঙ্গেশকর হয়তো এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তবে তার চিরসবুজ গানের উত্তরাধিকার ভক্তদের জন্য রেখে গেছে। লতা দিদির এই গানগুলো তাকে চিরকালের জন্য এই পৃথিবীতে অমর করে রাখবে। দৈনিক সংবাদের পক্ষ থেকে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।