চুড়ান্ত ধিক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকলো শহর কলকাতা। চূড়ান্ত নিন্মরুচির মানসিকতার ঘটনা ঘটল। খাবার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন রাস্তার কুকুরদের (Roadside Dogs) উপর ধর্ষনের অভিযোগ উঠল এক পঞ্চাশোর্ধ প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। হাতে নাতে প্রমাণ সমেত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অবলাজীবগুলি কে ধর্ষণ করে জেলে যেতে হচ্ছে প্রৌঢ়! এর পেছনে কি শুধুই বিকৃত মানসিকতা নাকি কোনও নেশার প্রভাব, সেটা ভেবেই তাজ্জব হচ্ছেন সমগ্র বেহালাবাসী। কেননা সারমেয়দের উপর এই ধর্ষণ এক দুদিন হয়নি। দিনের পর দিন ধরে কুকুরদের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে শেষে হাতেনাতে ধরা পড়ে হাজতে গিয়েছে বেহালার রায় বাহাদুর রোডের বাসিন্দা রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই পাড়ার লোকেরা লক্ষ করেন রাতের বেলা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না অনেকগুলি কুকুরকে। আশ্চর্য্যজনক ভাবেই উধাও হয়ে যাচ্ছে তারা। খাবার দিয়ে অনেক হাকডাকেও সারা মিলত না। সকাল বেলা ফের কুকুরগুলো কে দেখতে পাওয়া যেত অসুস্থ অবস্থায়। সারাদিন কেমন যেন ধুঁকতো! পাড়ার ছেলেদের সন্দেহ দানা বাঁধে। তাঁরা নিজেরাই ঠিক করে এই ঘটনার খোঁজ করবে। নজর রাখা শুরু করে কুকুরগুলির উপরে। কিন্তু নজর রাখতে গিয়ে এমন নোংড়া ঘটনা তাঁদের সামনে উন্মোচিত হবে তা বোধহয় কল্পনাও করেনি স্থানীয়রা। কী দেখলেন তাঁরা?
দেখেন রাত হলেই খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কুকুরগুলোকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাচ্ছেন ওই পাড়ারই এক প্রৌঢ় রতন চট্টোপাধ্যায়। গভীর রাতে আবারও তাদের রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এর পর একদিন রাতে তার বাড়িতে কি চলছে জানতে হানা দেন পাড়ার কয়েজন বাসিন্দা। ঘরের ভিতরের দৃশ্য দেখে তাঁদের হতবাক অবস্থা। দেখেন কুকুরদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ করছেন রঞ্জিতবাবু। কুকুরগুলির মুখ বাঁধা রয়েছে, এবং চারটে পাও বাঁধা। চিৎকারও করতে পারছে না আর পালিয়েও যেতে পারছে না। আর কোনো মাদকের প্রভাবে কুকুরগুলি ঝিমিয়ে ছিল রীতিমত। ভিডিও করে তারা সেই ঘটনা জানায় বেহালার এক সংস্থাকে।
এরপরে সেই সংস্থা বেহালা থানার অভিযোগ দায়ের করা পরেই গ্রেফতার হন রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়ক নামক ওই ব্যাক্তি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা ওই ব্যাক্তি খাবারের ঘুমের ওষুধ বা কোনও মাদক মিশিয়ে খাওয়াতেন যার কারণে কুকুরগুলো সারাদিন ঝিমিয়ে থাকতো আর ওই খাবারের বাইরে অন্য কিছু খাবার মুখে তুলত না।