সম্প্রতি বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল শ্রীনগর (Srinagar) প্রশাসন, জম্মুতে (Jammu) বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার এক সপ্তাহের মধ্যেই। রবিবার থেকে যে কোনও প্রকার ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রেই জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা ওই এলাকায়। শুধু তাই নয়, করা যাবে না ড্রোন কেনা-বেচাও। ইতিমধ্যে যাঁদের কাছে ড্রোন কেনা রয়েছে, তাঁদেরও নিকটবর্তী থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই ড্রোনগুলি। আর নিরাপত্তার কারণে এই পুরো সিদ্ধান্তগুলিই নেওয়া হয়েছে। সরকারি বিবৃতিতে শ্রীনগর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহেই জম্মুতে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেখানেই কিন্তু শেষ নয়, এরপর একাধিকবার ড্রোন উড়তেও দেখা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের আকাশে। আর এদিনের এই সিদ্ধান্ত তারপরই। শনিবার জেলাশাসক মহম্মদ ইলিয়াজের নির্দেশ এসেছে শ্রীনগর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে, যাঁদের কাছে ড্রোন বা ওই জাতীয় কোনও কিছু রয়েছে স্থানীয় থানায় তা অবিলম্বে জমা করতে হবে। ড্রোন বেচা-কেনা যাবে না নিরাপত্তার খাতিরে শ্রীনগর এবং সেই সংলগ্ন এলাকায়। করা যাবে না ব্যবহারও। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতেই।
উল্লেখ্য, মিনিট তিনেকের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয় জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে ২৭ জুন রাতে। বড়সড় ক্ষতি না হলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার নতুন ছক সামনে চলে আসে। এতদিন যে ড্রোনে অস্ত্র পাচার করত সীমান্তে পেরিয়ে জঙ্গিরা। এবার সেই ড্রোনের মাধ্যমে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে জেহাদিরা বিস্ফোরক পাঠিয়ে। বিস্ফোরণের পর থেকে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ড্রোনের আনাগোনা বেড়েছে। কখনও আনম্যানড ভেহিক্যালসগুলি সেনা তৎপরতায় পালিয়েছে। আবার কখনও চলে গিয়েছে নজরদারি এড়িয়ে। সপ্তাহভর ড্রোনের গতিবিধি চর্চার শীর্ষে থেকেছে। এমন অবস্থায় ফের দেখা মিলেছে ড্রোনের শনিবার রাতেও। তারপরই ড্রোন ওড়ানোর উপর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জারি হল নিষেধাজ্ঞা।