অনেকসময় অন্য কিছু না করতে পেরে অনেকে চুরির পথ ধরে। কিন্তু প্রয়োজনে নয় স্রেফ এক অদ্ভুত নেশায় ইনি করতেন চুরি। তাও কারোর ভীষণ গোপন সম্পত্তি। কি সেটি! তা হল মহিলাদের অন্তর্বাস। জাপানের এক প্রৌঢ়কে এই অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ৷
৫৬ বছর বয়সী ওই প্রৌঢ় একটা -দুটো নয় চুরি করেছে প্রায় সাতশো অন্তর্বাস। সেগুলি উদ্ধার হয়েছে তার কাছ থেকে৷ বিভিন্ন লন্ড্রির থেকে বহু বছর ধরেই এই চুরির কাজ করত সে৷ লন্ড্রিতে রোজকার পরনের জামাকাপড় থেকে শুরু অন্তর্বাস, কেচে ধুয়ে পরিষ্কার করার জন্য পাঠাতেন অনেকেই। কিন্তু মাঝেমধ্যেই গায়েব হয়ে যেত মহিলাদের অন্তর্বাস। বর্তমানে বেশ কিছু সময় ধরে জাপানে একাধিক অন্তর্বাস চুরির ঘটনা রিপোর্ট হচ্ছিল৷ কিন্তু কোথায় যাচ্ছে মহিলাদের সেই অন্তর্বাস? আর সব জামা কাপড়ের মধ্যে কেবল অন্তর্বাসই কেন উধাও হয়ে যাচ্ছে, তা জানা যাচ্ছিল না। অবশেষে কয়েকদিন আগে ফাঁস হল সেই রহস্য।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের ওইটা প্রদেশে। টাকা দিয়ে নিজের জামা কাপড় নিজেই কেচে নেওয়া যায় মেশিনে এমন স্বয়ংক্রিয় ওই লন্ড্রি থেকে টেটসুও উরাতা (Tetsuo Urata) নামে অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তি মহিলাদের ছ’জোড়া অন্তর্বাস চুরি করেছিল। কিন্তু যার অন্তর্বাস চুরি যায় সেই ২১ বছরের তরুণী এবারে পুলিশের কাছে জানায় অভিযোগ। আর এই লন্ড্রি থেকে অন্তর্বাস চুরির কিনারা করতে গিয়ে জাপানে (Japan) হাতেনাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক প্রৌঢ়। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। তবে ছয় জোড়া অন্তর্বাসের খোঁজে নেমে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। তারা দেখতে পেল এক বা দুই জোড়া নয়, ওই ব্যাক্তি না হলেও ৭০০রও বেশি অন্তর্বাস চুরি করেছে। এই সাতশোর অধিক অন্তর্বাস ৫৬ বছর বয়সী ওই প্রৌঢ় এর বাড়িতে লুকোনো ছিল।
পরবর্তীতে মেঝেতে পড়ে থাকা তার চুরি করা অন্তর্বাসগুলির ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের পোস্টে শেয়ারও করে জাপানের স্থানীয় পুলিশ। পোষ্টের ক্যাপশনে তাঁরা জানায়, অন্তর্বাস চুরির ইতিহাসে এর আগে কোনদিন এত বেশি সংখ্যক অন্তর্বাস চুরির ঘটনা সামনে আসেনি। ইতিমধ্যেই জাপানের এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এমন লজ্জাজনক সখের চুরি দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরাও। বহু সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারও ওই ব্যক্তির কাজের নিন্দা করেছেন। কেউ কেউ এই বিষয়টি নিয়ে ট্রল বা মজাও করেছে।