বছর খানেক ধরেই ইরফান শূন্য বলিউডের অন্দরমহল । অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করে সেকথা জানালেন স্ত্রী সুতপা শিকদার এবং ছেলে বাবিল , কোন খাতে জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ইরফান।
জীবনের শেষ দু’বছরে এই অভিনেতা অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, জানিয়েছেন বাবিল। লিখেছেন ইরফানপুত্র, ‘কেমো তোমাকে ভেতর থেকে দগ্ধ করছিল। ছোট ছোট বিষয়ে তুমি আনন্দ খুঁজছিলে, তা সে নিজের টেবিল তৈরি হোক বা নিজের জার্নালে লেখা। বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই একটি ঘরানার সমাপ্তি হয়েছে। একটা ফুল স্টপ। কেউ তাঁর জায়গা কোনও দিন নিতে পারবেন না। কেউ নিতে পারবে না। তুমি ছিলে আমার প্রিয় বন্ধু, সঙ্গী, ভাই, বাবা। আমি তোমাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। আমি তোমাকে মিস করছি। শাহজাহান মুমতাজকে যতটা মিস করত তার থেকেও বেশি। আমি হয়ত মহাকাশে একটা মিনার তৈরি করতে পারতাম যা আমাদের ব্ল্যাক হোলের কাছে নিয়ে যেত। কিন্তু আমি সেখানে তোমার সঙ্গে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা সেখানে একসঙ্গে সেখানে যেতে পারতাম।’
ইরফানের স্ত্রী সুতপা জানান, হাসপাতালে কোনও প্রার্থনা করা নয় ইরফানের জীবনের শেষ মুহূর্তে, অভিনেতার প্রিয় গান গাইছিলেন তিনি এবং উপস্থিত পরিবারের লোকজন। তিনি লিখেছেন, ‘গত বছর আজকের দিনে আমি এবং আমার বন্ধুরা তোমার জন্য তোমার প্রিয় গান গাইছিলাম। নার্স অদ্ভূতভাবে দেখছিলেন। কারণ কঠিন সময়ে তাঁরা সাধারণত প্রার্থনা করা দেখতেই অভ্যস্ত…’। আরও লেখেন ইরফানের স্ত্রী, ‘তোমার সংখ্যার উপর দীর্ঘদিনধরেই কৌতুহল ছিল। তোমার জীবনের অন্তিম দিনে তিনটে ১১ ছিল। অনেকেই বলেন, খুব রহস্যজনক এই নাম্বারটা – ১১.১১.১১ (এই সময় অভিনেতার মৃত্যু হয়)।‘
প্রসঙ্গত, ২০১৮ তে ৫৪ বছর বয়সি অভিনেতার নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার ধরা পরে । এরপর চিকিৎসা করেছিলেন একবছর বিদেশে থেকে । ইরফানের আংরেজি মিডিয়াম মার্চ মাসে মুক্তি পায় । তখনও তাঁকে প্রচারে দেখা যায়নি শরীর অসুস্থ ছিল বলে । যদিও কয়েকদিন পরই বন্ধ হয়ে যায় এই ছবির প্রদর্শন করোনার কবলে । ২০২০ সালে আজকের দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতা মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।