তামিলনাড়ুতে মর্মান্তিক এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ভারতীয় আর্মড ফোর্সসের চিফ সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী সহ আরো ১২ জনের। দুপুর ১২.২০ নাগাদ ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনাটি ঘটতে দেখেছেন বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শী। কি বিবরণ দিলেন তারা।
জানা দুর্ঘটনার সময় আকাশ থেকে সপাটে মাটিতে আছড়ে পড়েছিল বায়ুসেনার কপ্টার। তার পর জঙ্গলের গাছে ধাক্কা মেরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে এমআই-১৭ কপ্টার টিতে। বুধবারের দুর্ঘটনার এমনই বিবরণ দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার সাথে সাথেই সেখানে পৌছায় গ্রামের বাসিন্দারা তারাই উদ্ধারকার্যে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। সেইটা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী তারাই এর ব্যাখ্যা করেন।
এক সংবাদ মাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণস্বামী নামে এক ব্যক্তি জানান যে, “মারাত্মক জোরে বিকট একটা শব্দ হল যেন মনে হচ্ছিলো অনেক গুলো বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার একসাথে ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘর থেকে সেইটা মুহূর্তেই বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম। দেখলাম দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে এবং দু-একজন কে দেখলাম ওই কপ্টার থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছে। সম্পূর্ণ রূপে পুড়ে গিয়েছেন সবাই। এমন ভয়ানক দৃশ্য দেখে এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম যে সাথে সাথে গ্রামের সবাই কে ডেকে আনি এবং পুলিশ আর ফায়ার ব্রিগেড এ খবর দেই।”
অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, খুব নীচু দিয়ে যাচ্ছিলো হেলিকপ্টার টি। দেখে মনে হল কুয়াশা আছে তাই হয়তো এতো নীচু দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে এসেই একটি গাছে ধাক্কা মারে, এর পরে আরো কয়েকটি গাছে ধাক্কা মেরে বিকট জোরে আওয়াজ হয়ে বিস্ফোরণ হয়। পুরো এলাকা জুড়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আবার আরো একজন বললেন আগুন লেগেছিলো আকাশে থাকাকালীন।
যত ভিডিও দেখা গিয়েছে সব জায়গায় একটাই দৃশ্য আছে, এলাকার মানুষেরা ওই আগুনের মধ্যে থেকেই হেলিকপ্টার এর প্রত্যেককে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে। যা গাছ ছিল চারদিকের সমস্ত গাছ ভেঙে গিয়েছে। এদিক ওদিকে ছিটকে রয়েছে এয়ার ক্রাফটের ধ্বংসাবসেস। রোটার পুড়ে ছাই কপ্টারের। এয়ার ক্র্যাফটের টেল ছাড়া আর কিছু চেনা যাচ্ছেনা।
দুর্ঘটনায় মারা গেলেন…
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত
২. মধুলিকা রাওয়াত
৩. ব্রিগেডিয়ার এল এস লিডার
৪. লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হরিজিন্দর সিং
৫. এন কে গুরেশয়র সিং
৬. এন কে জিতেন্দ্র কুমার
৭. বিবেক কুমার
৮.বি সাই তেজা
৯. হাবিলদার সত্পাল
এছাড়াও ছিলেন কপ্টারের পাইলট ও ক্রু-রা।