বিয়ের ঠিক আগে, ছেলেদের ব্যাচেলরেট পার্টি এবং মেয়েদের হেন্স পার্টি এখন বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ধরনের হেন্স পার্টিতে বিয়ের আগের সময় কে স্মরণীয় করে রাখতে কনের সাথে বাকি তার বান্ধবী, বোন এবং আরো মহিলারা এবং ব্যাচেলর পার্টিতে ছেলেরা তাদের গ্রুপের সাথে অনেক মজা, ঠাট্টা, ইয়ার্কি, নাচ, গান করে। সামগ্রিকভাবে, বিয়ের আগের সন্ধ্যাটিকে খুব স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করেন এই ভাবে। সাধারণতঃ এই ধরনের পার্টিতে মজা আর ঠাট্টা প্রচুর হয়। কিন্তু মজা করতে করতে যখন এমন কিছু হয় যা সব কিছুর সীমা অতিক্রম করে যায় তখন তা আর রসিকতার পর্যায়ে থাকে না। এমনই কিছু হলো এই হবু কনের সাথে। যখন তার বিয়ের আগের পার্টিতে তার হবু স্বামীর বোন তার সাথে এমন অদ্ভুত প্রাঙ্ক (Heartless prank) করে যে মুহূর্তের মধ্যেই বিয়ের আনন্দের পরিবেশ এক শোকের পরিবেশে পরিবর্তিত হয়। কেননা প্র্যাঙ্কের নামে এমন বেদনাদায়ক কাজ করলেন সেই মহিলা যে পরিবেশই সম্পূর্ন বদলে গেল।
কনের বিয়ের আগে পার্টিতে ছেলের বোন কনের বোনকে নিয়ে এমন কৌতুক করলেন, যার পরে সেখানকার পরিবেশ হতাশা ও ক্ষোভে ভরে যায়। আসলে কনের বোন বছর খানেক আগে মারা গেছে। তাই তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কি করলে সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় তার নাম নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করা কেউ পছন্দ করেনি।
জানা গেছে সবাই বিয়ের আগে পার্টির মজায় মগ্ন ছিল, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার হবু কনের জন্য পার্টিকে স্মরণীয় করে রাখতে কোনো চেষ্টার খামতি রাখতে চায়নি। গান, নাচ, মজা, কৌতুক, হাসি, সবই ছিল পার্টিতে। বরের বোনও সেখানে এসেছিলেন এবং তিনি ভাইয়ের বাগদত্তার জন্য একটি সারপ্রাইজ গেস্টের প্ল্যান করেছিল। কিন্তু আদতে সেটা একটি প্রাঙ্ক ছিল।কেননা সারপ্রাইজ গেস্ট কে সামনে নিয়ে আসতেই সবাই স্তব্ধ হয়ে গেল। তার হাতে একটা কঙ্কাল ছিল যে কনের বোনের পোশাক পরে ছিল। এটা দেখা মাত্রই সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। 16 বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া কনের বোনের নামে কঙ্কাল এনেছিল তার হবু ননদ।
এই ধরনের অশ্লীল রসিকতায় কনে এবং তার পরিবার ভীষণ ভাবে আহত হয়। বরের বোনের এই জাতীয় কৌতুক এর কারণে তারা এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর্যন্ত পরিস্থিতি এসে দাঁড়ায়। কনে আর কোনো অবস্থাতেই ওই মহিলার মুখ দেখতে প্রস্তুত ছিল না। সব শুনে বরও তার বোনের এই কাজে রেগে যায়। দোষ ছিল বোনের, যার খেসারত সে তার বিয়ে ভেঙ্গে ভোগ করতে চায়নি। তাই তিনি তার বোনকে বিয়েতে নিমন্ত্রণ না করার সিদ্ধান্ত নেন। বোনের জন্য একটাই শাস্তি নির্ধারিত ছিল যে, তার ভাইয়ের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই শর্তেই একমাত্র কনে বিয়েতে রাজি হন।