এমনিতেই বর্ষায় পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়!নানা ধরনের পোকামাকড় যেমন- পিঁপড়া, আরশোলা, কেঁচো, মশা, মাছি ছাড়াও নাম না জানা অনেক পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায় এই সময়। বহন করে আনে নানা রোগ জীবাণু।
তাই বৃষ্টির কালে বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ নিন। এতে আপনার বাড়ি হবে রোগজীবাণু বহনকারী পোকামাকড়মুক্ত এবং আপনার পরিবার থাকবে রোগমুক্ত।
বর্ষার পোকামাকড় : বৃষ্টির সময় রান্নাঘরের সিংক বা বাথরুমের বেসিনের লাইন বা কমোড দিয়ে বিভিন্ন পোকামাকড় ঘরে আসে। এরা আপনার ঘরে বয়ে নিয়ে আসতে পারে নানা রোগ জীবাণু। এই সব পোকামাকড় থেকে বাঁচতে পেতে গরম জলে স্যাভলন মিশিয়ে কয়েক দিন পরপর কমোড, বেসিন ও রান্নাঘরের সিংকে ঢেলে দিন। তবে ঢালার সময় খুব অল্প অল্প করে ঢালুন যাতে সরাসরি পাইপে গিয়ে না পড়ে। না হলে কমোড কিংবা বেসিনের লাইনে চিড় ধরতে পারে।
আরশোলা ও পিঁপড়া : আরশোলা ও পিঁপড়ার উপদ্রব বর্ষার সময় ভীষণ ভাবে বেড়ে যায়। তাই এদের উপদ্রব এড়িয়ে চলতে সব সময় ঘর পরিষ্কার রাখুন। কোথাও খাবারের গুঁড়ো যেন না পড়ে থাকে , বেসিনের সিংকে যাতে খাবার জমে না থাকে, সেইদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন ঘর ও রান্নাঘর স্যাভলন ও ভিনেগার দিয়ে মুছে নিন। পিঁপড়ার উপদ্রব কমাতে
জানালায় ও দরজায় বরিক পাউডার ছড়িয়ে রাখুন।
মশা-মাছি : ঘর থেকে মশা-মাছির দুর করার জন্য কয়েকটি কর্পূরের টুকরো আধকাপ জলে মিশিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে দিন। তরকারির খোসা , রান্নাঘরের বর্জ্য দূরে ফেলুন, বাড়িতে ঢাকা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। এ ছাড়া শুকনা চা-পাতা পোড়ানো ধোঁয়া পুরো বাড়িতে দিলে এতে মশা-মাছির উপদ্রব কমে যাবে।
এর পাশাপাশি রান্নাঘরের তাক, সেলফ, বুক সেলফ , আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন জায়গায় নিমপাতা আর কালোজিরা পুঁটলি করে রাখুন। কর্পূর গুঁড়ো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিন। ঘরের কোনায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারেন তবে পোকামাকড়ের থেকে বাঁচতে বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার না করা ভালো। এর বদলে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করুন।