খিদে পেলেই ফুড ডেলিভারি অ্যাপ খুলে অর্ডার করে। পছন্দ মতন খাবার এসে যায় আপনার দোরে। কিন্তু এই খাবার ডেলিভারি অ্যাপের সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য কোনো রেস্টুরেন্ট এর কাছাকাছি থাকা দরকারী। অন্তত এমন দুরত্ব যেখানে খাওয়ার পৌঁছানো যায়। কিন্তু ভাবতে পারেন নি মহাকাশে খাবার ডেলিভারি হওয়ার কথা। শুনলে কোনো কল্পবিজ্ঞানের গল্প বলেই মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এমনটা বাস্তবে হয়েছে! সত্যিই মহাকাশচারীরাও আজকাল ফুড ডেলিভারি অ্যাপে খাবার অর্ডার করছেন (Food Delivered to Space)! আর সংস্থাও আপ্রাণ চেষ্টা করছে তাদের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার৷ কি অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এই অসম্ভব কে সম্ভব করেছে জাপানের ‘উবার ইটস’৷
এই সংস্থা প্রথমবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে খাবার পাঠিয়ে ঐতিহাসিক নজির স্থাপন করল। এখানে আরও একটা কথা বলে রাখা দরকার যে এই ক্ষেত্রে ডেলিভারি বয় আর কেউ না জাপানের এক অত্যন্ত ধনী ব্যক্তি৷ খাবার পৌঁছে দিতে ইউসাকু মেজাওয়া (Yusaku Maezawa) জাপানের তরুণ উদ্যোগপতি ধনকুবের গিয়েছিলেন।
একটি ট্যুইট করা হয়েছে সংস্থার তরফে৷ সেখানে মেজাওয়া পৌঁছে গিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে৷ সাদা টিশার্ট এবং শর্টস তাঁর পরনে৷ সাদা টুপি মাথায়৷ খাবার হাতে খয়েরি প্যাকেটে৷ তিনি ভাসমান অবস্থায় পৌঁছে গেলেন খাবার নিয়ে৷ তারপর ভাসমান অবস্থায় চলে গেল ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের কম্যান্ডার অ্যান্টন শ্কাপ্লেরভের কাছে খাবারের প্যাকেটও৷ সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘‘উবার ইটস পরিবর্তন বজায় রেখেছে ডেলিভারি সময়ের সঙ্গে৷ আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি একের পর এক জায়গা৷’’ মেজাওয়াকে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে একই পোস্টে৷ সামাজিক মাধ্যম অভিনব এই ফুড ডেলিভারিতে রোমাঞ্চিত৷ ট্যুইটারেত্তিরা একমত, যে বিস্ময়কর এই ডেলিভারি!
প্রসঙ্গত ১২ দিনের সফরে মহাকাশে মেজাওয়া৷ তিনি খাবার পৌঁছ দিলেন ২৪৮ মাইল পাড়ি দিয়ে৷ খাবার ডেলিভারি দিলেন মহাকাশসফর শুরুর ৮ ঘণ্টা ৩৪ মিনিটের মধ্যেই৷
কিন্তু মহাকাশে খাবার পৌঁছে দেওয়া কী করে সম্ভব হল? অনেকেই জানতে কৌতূহলী৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় , যে মহাকাশের উপযোগী খাবার পাঠানো হয়েছে৷ যেখানে ক্যানবন্দি জাপানি খাবার মূলত ছিল৷ মিসোতে জারিত ম্যাকারেল মাছ, চিকেন এবং ব্যাম্বু শুটস, পর্ক-সহ নানা পদ মহাশূন্যে পাঠানো হয়৷ সংবাদমাধ্যমে মেজওয়া বলেছেন, ‘‘কিছু সুস্বাদু খাবার আমি সবে ডেলিভারি করলাম৷ ধন্যবাদ প্রথম বার মহাকাশে খাবার পৌঁছনোর সুযোগ দেওয়ার জন্য৷’’