খন জনজীবন বিপর্যস্ত করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) উৎপাতে। এমন পরিস্থিতিতেই ইংল্যান্ডের আইন বিশেষজ্ঞ ক্লেয়ার ম্যাকগ্লিন (Clare McGlynn) আরেক অতিমারীর (Pandemic) সম্ভাবনা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন। তাঁর মতে, ‘আগামী প্রজন্মের মানসিকতা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফেক’ বা ‘নকল পর্নোগ্রাফি’ দেখার কারণে, দিনের পর দিন নিম্নমানসিকতার পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা বাড়ছে ’। ‘ফেক পর্নোগ্রাফি’ সময়মতো না রুখলে তা ডারহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও তাঁর টিমের দাবি আগামিদিনে ‘যৌন অতিমারী’র আকার নেবে।
এই ফেক বা নকল পর্নোগ্রাফি আসলে কী ?
অনেক সময় ‘ডিপফেক পর্নোগ্রাফি’ও বলা হয় ‘ফেক পর্নোগ্রাফি’কে। কোনও পর্ন ভিডিওর চরিত্রদের মুখ এতে প্রযুক্তির মাধ্যমে পালটে দেওয়া যায়। মানে, ভিডিওর চরিত্রদের মুখের বদলে নিজের ইচ্ছেমতো মানুষের মুখ লাগিয়ে দেওয়া যায় এডিট করে সেখানে। এমনভাবে অ্যাডাল্ট ভিডিওয় অনেকেই তারকাদের ছবি ব্যবহার করেন। অধ্যাপক ম্যাকগ্লিনের মতে, এতে প্রবণতা বাড়ে বিকৃত যৌনতার। কোনও মানুষের বিনা অনুমতিতেই পর্ন ভিডিওতে ব্যবহার করা হয় তাঁর ছবি। শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীই নন, অনেক সময় যে মানুষের প্রতি আকর্ষণ আছে, ব্যবহার করা হয় তাঁদের ছবিও।
অধ্যাপক ও তাঁর সঙ্গীদের আশঙ্কা, ‘ফেক পর্নোগ্রাফি’তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছবি নিয়েও এভাবে। আর এতে বাদ যায় না শিশু, নাবালক, নাবালিকারাও। এমনিতে করোনা কালে পর্ন দেখার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।