ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter) এবং ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মতো শীর্ষস্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি কেন্দ্রের রোষে পড়তে পারে। অন্তত তাদের ২ দিনের জন্য ভারতে ব্লক করে দেওয়া হতে পারে । আসলে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে। সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ, মঙ্গলবারই। যদি এর মধ্যে নয়া নির্দেশিকা কার্যকর করা না হয়, তাহলে কেন্দ্র ওই সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে ব্লক করার পথে হাঁটতে পারে ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জারি করেছিল। জানানো হয়েছিল, নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে প্রতিটি সংস্থাকেই একটি কমিটি তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনও কনটেন্ট ‘আপত্তিকর’ মনে হলে সেব্যাপারেও পদক্ষেপ করবে সংশ্লিষ্ট কমিটি। সেই সঙ্গে জানানো হয়, ৩ মাস সময় দেওয়া হচ্ছে এব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য।
কিন্তু এই কয়েক মাসে ফেসবুক, টুইটারের মতো কোনও সংস্থাই, ওই নির্দেশিকা সংক্রান্ত কোনও প্রতিক্রিয়াই জানায়নি। একমাত্র দেশীয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা কু (Koo) ছাড়া কেন্দ্রের প্রস্তাবে এপর্যন্ত অন্য কেউই সাড়া দেয়নি। ফলে এবার তারা কেন্দ্রের রোষে পড়তেই পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘শাস্তি’ হিসেবেই তাদের ব্লক করে দেওয়া হতে পারে সাময়িক ভাবে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও প্রকাশ জাভড়েকর এক সাংবাদিক বৈঠকে নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছিলেন। কেবল সোশ্যাল মিডিয়াই নয়,গাইডলাইন প্রকাশ করা হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়েও সেই সময়। সেই সময়ই কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব আপত্তিকর ভাষা ও বিষয়বস্তু দেখা যাচ্ছে তা এবার থেকে আর অনুমোদন করবে না সরকার।