‘সেক্সাহোলিক’ সিনেমাটা দেখেছেন? সেক্স সেখানে চাহিদা, প্যাশন সব সীমা ছাড়িয়ে ‘নেশা’য় পরিণত। আর তারপর ওই মহিলার পরিণতি… ওটা ছিল সিনেমা। তবে, বাস্তবেও অতিরিক্ত যৌনতার ফল হতে পারে মারাত্মক। এমনই বলছে সমীক্ষা।
২০১৪ সালের একটি জরিপে বলা হয়, যৌন আসক্তরা যখন পর্নোগ্রাফি দেখেন তখন মস্তিষ্কের যে ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া হয় তা একজন মাদকাসক্তকে যখন তাদের প্রিয় মাদকদ্রব্য দেখানো হয় তার সাথে অনেক মিল আছে।
যৌন মিলন নিয়ে একেক জনের একেক রকমের মতামত রয়েছে। সঙ্গমের কোন সময়টা ঠিক আর কোন সময় ঠিক নয়, তা নিয়ে বিস্তর মতামত রয়েছে।
কী বলছে সমীক্ষা?
সমীক্ষা বলছে, অতিরিক্ত যৌনতায় বদলে যেতে পারে আপনার যৌনাঙ্গের গঠন। গুবরে পোকার দলের উপর এই সমীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। তারা লক্ষ্য করেন, যখনই পোকার দল অতিরিক্ত সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছে, তখনই বদলাতে শুরু করছে পুরুষ ও স্ত্রী গুবরের যৌনাঙ্গের গঠন। এর থেকে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বদলে যায় যৌনাঙ্গের গঠন।
অতিরিক্ত সঙ্গমের ফলে যোনীদ্বার ক্ষত বিক্ষত ও জরায়ু দুর্বল হয়ে পড়ে।সুতরাং জরায়ুতে পুরুষের বীর্য স্হির থাকতে পারে না। এর ফলে সন্তান এর জন্ম দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে উঠে।তাহা ছাড়া যোনীর শিরা গুলি ঢিলা হয়ে পড়ে।যার কারণে স্বামী স্ত্রী উভয়েই সুখঅনুভব করতে পারেনা।
সর্বশেষ কিছু কথা মনে রাখা ভালো…
১. যৌনতা কোনো অসুখ নয়, তাই এটাকে সুখ পর্যন্ত রাখার দ্বায়িত্ব আপনারই।
২. অতিরিক্ত মিলন আপনার শরীরকে নিস্তেজ করে দিতে পারে।
৩. দুই বারের বেশি মিলনের ফলে যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব হতে পারে। ফলে আপনার মনে যেই আনন্দ থাকার কথা তা শেষ পর্যন্ত থাকবে না।
৪. পুরুষরা যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চার বার বীর্য ত্যাগ করে তবে সেও সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করবে এবং খিদে কাজ করবে।
৫. যারা প্রথম মিলিত হচ্ছেন বা নতুন বিয়ে করছেন তাদের ক্ষেত্রে বহুবার যৌন মিলন স্বাভাবিক হলেও ততক্ষণ এবং ততবারই করুন যতক্ষণ আপনার শরীর ও মন দুই একসঙ্গে সাথ দিচ্ছে।