ক্রিকেটার হিসেবে এবং ২২ গজের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই সারা টেলর বেশ পরিচিত মুখ ৷ ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের সর্বাধিক বেশি চর্চিত ক্রিকেটার তিনিই ৷ ক্রিকেটার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন জনপ্রিয় মডেলও বটে৷
কিন্তু ইদানিং তিনি চর্চায় রয়েছেন ক্রিকেট নয় বরং সম্পূর্ণ অন্য কারণে। কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড মহিলা দলের এই ক্রিকেটার সারা টেলর নিজের কয়েকটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন যা আগুনের বেগে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কারণ ছবিগুলিতে তিনি ক্রিকেট খেলার ভঙ্গিমায় থাকলেও তার গায়ে নেই কোন জামা। সম্পূর্ণ নগ্ন তিনি। ফিল্মস্টার দের মতো ক্রিকেটাররাও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি শেয়ার করে স্পটলাইটে থাকার জন্য। কিন্তু সারা বোধ হয় তাদের থেকে একধাপ এগিয়ে গেছে। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিজের নগ্ন ছবি পোস্ট করে বর্তমানে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি ব্যাট হাতে করে দাঁড়িয়ে। কাপশনে লিখেছেন, “ব্যাট করতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা …”। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি উইকেটকিপিংয়ের ভঙ্গিমায়। সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ার তোলপাড় ফেলে দিয়েছে তার ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি। তবে তাঁর এই নগ্ন ছবির জন্য তাঁরই টিমের এক সতীর্থ অর্থাৎ ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য অ্যালেক্স হার্টলি সারা কে ট্রোল করেছেন৷ আলেকজান্দ্রা হার্টলি ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিমায় কমেন্ট করে জিজ্ঞাসা করেছেন , “তুমি এইভাবে নগ্ন হয়ে কতগুলি ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছ?”
আলেকজান্দ্রিয়া হার্টলি আরো একটা কমেন্ট করেছে সারার নগ্ন ছবিতে যে “তুমি কখন কোনো জামা কাপড় না পরেই ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন?” তবে এমন ছবি শেয়ার করার পিছনে সারার একটি মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। ওই ছবিগুলি শেয়ার করার উদ্দেশ্য ছিল মহিলাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলির জন্য সাপোর্ট দেওয়া। এই ধরনের একটি ম্যাগাজিনের ফটোশুট করেছিলেন তিনি।
টেইলর যেদিন এই ছবি গুলি শেয়ার করেছিল তার ক্যাপশনের সেদিন তিনি লিখেছিলেন- “যারা আমার বিষয়ে জানেন তারা বুঝতে পারে যে এই ধরণের ছবি তোলা আমার স্বচ্ছন্দ ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু তাও সাহস করে আমি মহিলা দের স্বাস্থ্য সচেতনতা অংশ হওয়ার জন্য নিজের উপর গর্ববোধ করি আর মহিলাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব যে এই কাজের জন্য তারা আমায় নিমন্ত্রণ করেছে”।
এর আগেও সারা অনেকবার নিজের কাজের জন্য বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিলেন এবারও তিনি সেই বিতর্কের মাঝেই রইলেন।