পশ্চিমবাংলার সব থেকে বড় খবর এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখার্জির যোগসূত্র। যেখান থেকে প্রায় নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। আর যে ফ্ল্যাটে এই টাকা উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকেই উদ্ধার হল এক কালো ডায়েরী। আর এই ডায়েরী ঘিরেই দানা বাধঁতে শুরু করেছে সন্দেহ। ইডি জানিয়েছে যে অর্পিতা মুখার্জির বাড়িতে উদ্ধার হওয়া ওই কালো ডায়েরী প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ, প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি সেখানে রয়েছে। যদিও সব কিছুই এক অজানা কোডে লেখা। অর্থাৎ এক সাংকেতিক ভাষায় লেখা রয়েছে সব কিছু। আর এই কারণেই সন্দেহ আরও বাড়ছে। কি এমন লেখা রয়েছে কোডের মাধ্যমে? এই কোড উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে ইডি এই মুহূর্তে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই কারণেই ভাষা বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে চলেছে আগামী দিনে। আর সেই কারণে আজকেই তাদের ডাকা হয়েছে কলকাতার ইডি অফিসে।
ইডি সূত্রে খবর, একটি কালো রঙের ডায়েরি ও একটি পায়োনিয়রের নোটবুক অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের নাম লেখা রয়েছে দুটিতেই বলে জানা যাচ্ছে। এধরনের বহু চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা ওই ডায়েরি ঘেঁটে তৈরি করছে ইডি। তদন্তকারীরা তালিকা ধরে ধরে মিলিয়ে দেখবেন যে, সবাই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন কিনা। ইডি আধিকারিকরা ওই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এমনটাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো যে , ইডি-এর হাতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হরিদেবপুরে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। সেখানে অনেক কিছুই পাওয়া গিয়েছে! তারমধ্যে দুটি ডায়েরির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সিজার লিস্টে। ওই দুটি কীসের ডায়েরি? ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে , ওই ডায়েরি দুটির একটি ৪০ পাতার, আর একটি ১১ পাতার। ৪০ পাতার কালো ডায়েরিটির উপর আবার, শিক্ষা দফতর, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার লেখা। ১১ পাতার একটি পকেট ডায়েরিও সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যেসব নথি পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে, তাতেও তাঁর সঙ্গে যোগসূত্রের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি অর্পিতার ফ্ল্যাটেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। এখন ইডি জানিয়েছে , অর্পিতা তদন্তে সহযোগিতা করলেও পার্থ চ্যাটার্জি একেবারেই করছেন না। ইতিমধ্যেই জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন অর্পিতা। কিন্তু পার্থ সব কিছুর উত্তর এড়াচ্ছেন পার্থ। অস্থায়ী লক-আপ তৈরি করে কনফারেন্স হলে পার্থকে রাখা হয়েছে। আর অর্পিতা ইডির লক-আপে আছেন। দুজনকে জেরা করে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বাকি মাথাদের সন্ধান চায় ইডি।