অনলাইনে নতুন নতুন ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা। যার জেরে প্রায়শঃই বিপদে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। তাই গ্রাহকদের বিপদ থেকে বাঁচাতে সতর্ক করেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। কী হচ্ছে ডিজিটাল ফ্রডের ফাঁদে।
ইদানিং অনলাইনে একের পর এক মানুষ পড়ছে বিভিন্ন টোপের ফাঁদে। চিন্তা বাড়িয়ে এসেছে এক নতুন ফাঁদ। একবার জবাব দিলেই নগদ উধাও আপনার। তাই কোভিডকালে চিন্তা বাড়াচ্ছে অনলাইনে লেনদেন।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ফলে অনলাইন বাঙ্কিং- এ লেনদেনের সুযোগ বেড়েছে। কিন্তু ডিজিটাল ইন্ডিয়ার এই সাধু উদ্যোগে কালো ছায়া ফেলছে প্রতারকদের পাতা ফাঁদ। অনলাইনে একের পর এক ভুয়ো জাল পাতছে হ্যাকাররা। যার জেরে একাধিক সময় বিপদে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সম্প্রতি তাই গ্রাহকদের ফ্রডের হাত থেকে বাঁচাতে সতর্ক করেছে দেশের প্রায় সব ব্যাঙ্ক। অনলাইনের প্রতারণা রুখতে সজাগ করছে এস বি আই, আই সি আই সি আই, পাঞ্জাব নাশনাল ব্যাঙ্কের-র মতো সংস্থা।
ঠিক কি উপায়ে চলছে প্রতারণা চক্র ?
কিছুদিন আগে পর্যন্তও ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চাওয়া অবধিই সীমিত ছিল প্রতারণার হাতিয়ার। বহুদিন ধরেই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বার বার বার্তা দেওয়ায়, এই নিয়ে এখন অনেকটাই বেশী সচেতন গ্রাহকরা। এই উপায়ে তাই বিশেষ সুবিধা না হওয়ায় এখন অন্যপথ বেছে নিচ্ছেন গ্রাহক ঠকানোর এই জালিয়াতিচক্র। অনলাইন তথ্য হাতানোর জন্যে ‘ফিশিং টুল’ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইমেল, কিউআর কোড স্ক্যানার ইত্যাদি। এছাড়াও ব্যাঙ্কের নাম করে ফোন করার ভুয়ো কল সেন্টার তো লেগেই রয়েছে। রোজই কেউ না কেউ ফোন করে গ্রাহকের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তাই নিজের গ্রাহকদের বাঁচাতে পাল্টা সচেতনতা প্রচার করছে ব্যাঙ্কও। তারা বার বার বলছে, ইমেলে ভুয়ো ব্যাঙ্কের নাম করে নানা জায়গায় নগদ রাখার কথা বলছে জলিয়াতকারিরা। ভুল করেও সেই ফাঁদে পড়বেন না। অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকের কেওয়াইসি চাইছে এই ভুয়ো কলাররা। মনে রাখবেন কখনোই ফোন কলের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের কাস্টমার আইডি, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নম্বর ছাড়াও সিভিভি চাইতে পারে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।