মামার বাড়ি তার গ্রামে। কার্যত তার পক্ষে মৃত্যুর পরোয়ানা হয়ে উঠেছিল গ্রামের গাজনের মেলার প্রতি এহেন আকর্ষণ! নেটমাধ্যমে সম্প্রতি দেবের সেই হাড়হিম করা অভিজ্ঞতার কথা উঠে এলো। নেটিজেনরা যা শুনে রীতিমতো শিউরে উঠছেন।
এটা সত্যি খুব অবিশ্বাস্য হলেও। এই ঘটনার কথা দেব নিজেই জানিয়েছেন। নেটদুনিয়ায় সম্প্রতি দেব ও রুক্মিণী (Rukmini Maitra)-র সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেব এই স্বীকারোক্তি করেছেন সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)-র সামনে। দেব জানিয়েছেন, সেই সময় তিনি মুম্বই থেকে মামাবাড়ি এসেছিলেন গাজনের মেলা দেখতে। তিনি গ্রামের মেলায় গিয়েছিলেন সবার সঙ্গে মজা করে। সেই মেলায় কেউ তাঁকে কোনো নিষিদ্ধ কিছু খাইয়ে দিয়েছিলেন সম্ভবত। ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। দেব টানা একদিন অজ্ঞান ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামবাসীরা তাঁকে মৃত ভেবে দাহ করতে শ্মশানে নিয়ে আসেন।
এদিকে গোটা গ্রাম চষে ফেলেন তার দিদা এবং মামা বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেয়ে। একমাত্র ছেলে মুম্বাই নিবাসী মেয়ে-জামাইয়ের! গাজনের মেলায় ছুটি কাটাতে এসে হারিয়ে গেছে! তার দিদা দেবকে খুঁজে না পেয়ে রীতিমতো হা হুতাশ করতে থাকেন। কি উত্তর দেবেন মেয়ে জামাইকে তিনি? শেষমেষ দেবের দিদা গাজনের কাছেই মানত করে বসলেন। তিনি নাতিকে খুঁজে পেলে তাকে দিয়েই গাজনের সন্ন্যাস পালন করার প্রতিজ্ঞা করে বসেন। অবশেষে শ্মশান থেকে তারাই তাকে উদ্ধার করেন। তার দিদা এবং মামারা সারারাত ধরে খোঁজাখুঁজি করার পর দেবকে শ্মশান থেকে জীবিত অবস্থাতেই উদ্ধার করেছিলেন।
কিন্তু আবারও গ্রামে ফিরতে হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার পর দেব ওরফে দিদার আদরের রাজুকে। কারণ দিদা মানত করেছিলেন, তাঁকে দিয়ে গাজনের সন্ন্যাস পালন করাবেন দেবকে খুঁজে পেলে বড় হওয়ার পর। তাই দেব ফিরে এসে, এক সপ্তাহের জন্য ‘ভক্তা’ বা গাজনের সন্ন্যাসী হয়েছিলেন দিদার মানত অনুযায়ী। তখন তাঁকেও মন্দিরে থাকতে হত অন্যান্য সন্ন্যাসীদের মতো এবং নিয়ম পালন করতে গিয়ে আগুন, কাঁটাঝাঁপ সবই করতে হয়েছিল। কথা হারিয়ে ফেলেছেন শাশ্বত, দেব যতক্ষণে তাঁর কাহিনী শেষ করেছেন। অপরদিকে রুক্মিণী শিউরে উঠেছেন।