ভারতের কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবারও মারা গেছেন ৪২২ জন। এর আগের দিন অর্থাৎ রবিবার করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছিল ৫৪১ জনের। এই সংখ্যাটা অবশ্য আগের দিনের তুলনায় সামান্য কম। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ্য ২৫ হাজার ১৯৫ জন।
মঙ্গলবারের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৫৪৯ জন। সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪০ হাজার ১৩৪। এর আগের দিন অর্থাৎ রবিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪১ হাজার ৮৩১ জন। এর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৬৪৯ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। এই যাবৎ দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৫০৭ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮৭ জন। সোমবার দেশের সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৯৪৬ জন। এর আগের দিন সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ২৫৮ জন। আপাতত দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৭১৮। এই যাবৎ করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৫৪ জন। মোট করোনা টিকার ডোজ এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৪৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ১১৪ জনকে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৬১ লক্ষ ৯ হাজার ৫৮৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী সোমবার ও মঙ্গলবারও করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা একই রয়েছে। ৪২২ জনের মৃত্যু হয়েছে পর পর ২ দিনই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী সোমবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ১৩৪। কিন্তু এইদিন মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা নেমে আসে ৩০ হাজার ৫৪৯ জনে। ফলে আজ গ্রাফ নিম্নমুখ।
এদিকে ভারতের সমস্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেন ক্রমশই বাড়ছে কেরলে। প্রথম দিকে এই রাজ্যই গোটা দেশে করোনাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার দিশা দেখাচ্ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে পুরো দেশে একদিনে যত আক্রান্ত হচ্ছে তার অর্ধেক কেরলের। গত সপ্তাহেই ওই রাজ্যে ১.৪ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। যা গোটা দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমনে রেকর্ড। তার আগের সপ্তাহের থেকে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ হাজার বেশি। এখন প্রতিদিনই এখন করলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই কারণে আসন্ন করোনার তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে বারবার সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।