হনিমুনে গিয়েছিলেন প্যারিসে। প্যারিসের যে হোটেলে থেকেছিলেন সেখানেই ঘটলো এই অঘটন। সেই হোটেলেই দেখা হয় জীবনের সব থেকে পছন্দের তারকার সাথে। সাধারণত মানুষ খুব খুশি হয় নিজের পছন্দের তারকার সাথে হঠাৎ করে দেখা হয়ে গেলে। যদিও যেমন তেমন তারকা তিনি নন। বিশ্ববিখ্যাত পর্নস্টার মিয়া খালিফা নাম তাঁর। যাকে প্রথমবার সামনাসামনি দেখেই একেবারে চিনে ফেলেছিলেন লায়া মারিয়েলা নামে ওই মহিলার স্বামী।
মিয়া খালিফা কে দেখে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। আনন্দে উত্তেজনার বশে বন্ধুদের ফোন করে জানাতে থাকেন মিয়া খলিফার সাথে দেখা হওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই ব্যাপারটা লায়া একেবারেই পছন্দ করেননি। তবে লায়া নিজেই একজন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার। আর জীবনের এতো বড় এক ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি উগরে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি এই ঘটনার ভিডিও করে তিনি টিকটক এ শেয়ার করে দেন। দ্রুত সেটি ভাইরাল হয়েও যায়।
প্রাক্তন পর্নস্টারের প্রতি এত উত্তেজনা নিয়ে তার স্বামীর আনন্দ দেখে একেবারেই সহ্য করতে পারেননি লায়া। তার উপরে লায়ার সহ্যর সীমা তখনই কখনো হারিয়ে যায় যখন বন্ধুদের ফোন করে তাঁর স্বামী মিয়ার সাথে দেখা হওয়ার সব বর্ণনা দিতে শুরু করেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের কমেন্ট হতে শুরু হয়। মিয়া খালিফা নিজেই কমেন্ট করেন। তিনি বলেন তিনি একা নন মিয়ার সাথেও এই একই ঘটনা ঘটেছে। দিনরাত ফোন নিয়েই তাঁর সঙ্গীও পড়ে থাকেন। তাই একদিন একসঙ্গে তাঁদেরকে ছেড়ে কেনাকাটা করতে যাওয়ারও প্রস্তাব রাখেন মিয়া। লায়াও সুযোগ ছাড়েননি! তিনিও রাতারাতি মিয়ার সঙ্গে দেখা করার পাল্টা প্রস্তাব ছুঁড়ে দেন কমেন্ট করে।
তবে এরপর তাদের শেখা হল কি? স্ত্রীকে একটি বহুমূল্য ব্যাগ কিনে দিতে হয়েছে তাঁকে প্রাক্তন পর্নস্টারকে চিনে ফেলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে। যে ব্যাগটির দাম ৫লক্ষ টাকা থেকে শুরু। লায়া নিজেই আবার সেই ব্যাগের ছবিও শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। খোদ মিয়া খলিফার সঙ্গে সেই ব্যাগ হাতে পোজও দিয়েছেন তিনি। আর সে সময় লায়ার স্বামী নিজেই ক্যামেরার পিছনে ছিলেন, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না? ঠিকই ধরেছেন। সেই ছবি লায়ার স্বামীকেই তুলতে হয়েছে।