সামান্য সংক্রমণ, মৃদু করোনা উপসর্গ। কিন্তু তার পরেই আস্তে আস্তে পরিস্থিতি এগোচ্ছে ভয়ঙ্কর দিকে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এমন অবস্থা হচ্ছে অনেকেরই ।
বহু করোনা রোগীর ক্ষেত্রেই নিজেদের ভুলে শারীরিক সমস্যা অনেক বড় আকার নিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ে সচেতন হবেন?
বহু মানুষের ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে শরীরের অসুবিধে খুব সামান্য। এর পরে নিজেই বা পরিবারের সদস্যরা মানতেই চান না, করোনা হওয়ার সম্ভবনা। সাধারণ মৌসুমী সর্দি-জ্বর বা ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি মনে করেন। গন্ধ চলে গেলে মনে করেন, সর্দিতে নাক বন্ধ। এ সব ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হলে সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ দেরিতে: বহু মানুষই প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ দেখে মনে করেন, তাদের তেমন কিছুই হয়নি। ফলে ডাক্তার দেখাতে চান না। ফলে অনেক টা সময় নষ্ট হওয়ায় পরে সমস্যা বড় আকার নিয়ে নেয়।
দেরিতে কোভিড টেস্ট: দেরিতে কোভিড টেস্ট একেবারেই ঠিক নয়। সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে কিছু মাত্র সংশয় বা সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত কোভিড টেস্ট
করিয়ে নেওয়া উচিত। পরীক্ষা করাতে অনেকটা দেরি হলে করোনা থেকে বিপদের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। এতে চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয়। সংক্রমণ আরো জটিল হওয়ার আশঙ্কাও বাড়তে থাকে।
করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট এর অপেক্ষা: কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট দেরিতে আসছে অনেকের ক্ষেত্রেই। কারণ এখন সংক্রমন হার অনেক বেশি। প্রচুর মানুষ প্রতি দিন পরীক্ষা করাচ্ছেন। ফলে পরীক্ষার উপর চাপ বাড়ছে। তাই রেজাল্ট আসতেও অনেক দেরি হচ্ছে। এই দেরির জন্য পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে।
চিকিৎসক কী পরামর্শ দিচ্ছেন: করোনার স্বল্প উপসর্গ রোজ অক্সিজেনের মাত্রা মাপুন। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এমনটাই মত চিকিৎসকদের। ‘‘দিনে অন্তত ২ই থেকে ৩ বার অক্সিজেন মাপতে হবে। এবং অক্সিজেনের লেভেল যদি কোনো কারণে ৯৩-এর নীচে নেমে গেলে সাথে সাথে চিকিৎসক কে যোগাযোগ করুন।’’ এর পাশাপাশি বেশ কয়েক বার শরীরের টেম্পারেচার চেক করা দরকার। এমনই বলছেন চিকিৎসকেরা। এই সব পারামিটার বলে দেবে আপনার দেহে রোগ জটিল হচ্ছে কিনা।