Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

অতি সংক্রমক ডেল্টা স্ট্রেনে আতঙ্কে চীন। বেজিং সহ চীনের ১৫ শহরে হু হু করে সংক্রমন বাড়ছে

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) উৎপত্তি স্থল চীনের উহান শহর হলেও করোনা সেইভাবে কখনোই থাবা বসাতে পারেনি চীনে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে করোনা সংক্রমণ সেভাবে প্রায় ছিলই না জিংপিংয়ের দেশে। কিন্তু সারা বিশ্বে নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনার যে ডেল্টা প্রজাতি তার হাত থেকে রেহাই পেল না চিনও। আচমকাই চীনে এক ধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ল। জানা যাচ্ছে করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (delta variant) প্রভাবেই ফের এই অতি সংক্রমক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর নানা দেশেই করোনা ডেল্টা (Delta) স্ট্রেনের দাপটে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। বাদ যায়নি চীনও। সেই দেশে করোনা ঘিরে রাতারাতি ফের আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত চিনের ১৫টি শহরে ডেল্টা প্রজাতির থেকে হওয়া কোভিড সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে অন্যতম চীনের রাজধানী বেজিং। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ।

delta variant in china

চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনার প্রাথমিক দাপট শুরু হওয়ার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ ছাড়া আর কখনওই চিনে করোনা সংক্রমণের বেড়ে ওঠা ঘিরে এত সমস্যা হয়নি। যদিও সংক্রমিতের সংখ্যা এখনও মারাত্মক আকার ছোঁয়নি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খুব সল্প সময়ে এতগুলি শহর থেকে অতি সংক্রমক ডেল্টা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে, তাতে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।

চীনের নানজিং এয়ারপোর্টেই (Nanjing Airport) প্রথম কিছু সাফাই কর্মীর মধ্যেই প্রথম এই করোনা ডেল্টা সংক্রমণ ধরা পড়ে বলে জানা গিয়েছে। গত ২০ জুলাই ওই এয়ারপোর্টের সাফাই কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হন। এরপর খবর আসে চিনের জিয়াংশু প্রদেশে ১৭১ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ায়। এদের মধ্যে লক্ষ করা যায় ডেল্টা প্রজাতির উপস্থিতি। এরপরে সেখান থেকেই চিনের আরও চারটি প্রদেশে ডেল্টা-সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখে জিয়াংশু প্রদেশে জারি হয়েছে লকডাউন। আর নানজিং শহরেও জারি হয়েছে কঠোর বিধি নিষেধ, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিম, সালো, লাইব্রেরি, ক্যাফে, সিনেমা হল, বার।

অন্যদিকে চীনের আরেক প্রদেশ হুনান প্রদেশে এক পর্যটন শহর ঝংজিয়াজিতে সরকারি নোটিশ অনুযায়ী, প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দা লকডাউনে রয়েছে এবং গত শুক্রবার থেকে সেখানের সমস্ত পর্যটনস্থলকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই শহরের একটি থিয়েটারে এক সাথে অনেক লোক অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করায় অনেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে এরম কড়া পদক্ষেপ নেয়া হয়।

বেশী সংখ্যক টেস্ট করে, কড়া কোভিড বিধি আরোপ করে এবং অধিক সংক্রমিত জায়গায় লকডাউন (Lockdown) করে ডেল্টার সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে চিন। কিন্তু সব চেয়ে চিন্তার কারণ, যাঁদের মাধ্যমে ডেল্টা-সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাঁদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। ফলে নতুন ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে চিনের তৈরী টিকার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভাইরাস কে ঠেকাতে চিনের লড়াই (anti-virus measures) কতটা কার্যকর, সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

Related posts

৩ মেয়ের পর ছেলে চেয়ে একত্রে জন্ম নিল ৪ সন্তান! এখন সকলের কাছে সাহায্য চাইছেন বাবা

News Desk

‘চাকরি চান? পেয়ে যাবেন.. বিনিময়ে..’, চাকরী দাতার প্রস্তাব শুনে পুলিশের দ্বারস্থ তরুণী

News Desk

স্বামীর সন্তান সুখের জন্য সবকিছু! পুলিশ গ্রেফতার করতে এলেও আটকালেন স্ত্রী!

News Desk