রাতে সাত পাঁকে ঘুরে বিয়ে করলেন কনে, সকাল হতে না হতেই বিয়ে ভাঙলেন। কেন বিয়ে ভাঙলেন সেই বিষয়ে যে যুক্তিও দিলেন সেটি অদ্ভুত। জানুন সম্পূর্ণ ঘটনাটা।
বিয়ের মরশুমে দেশজুড়ে, এর মধ্যেই এই চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। কাদিপুর খুর্দ গ্রামে বসবাসকারী রাজা বাবু চৌহান তার মেয়ে কাজলকে বিয়ে ঠিক করেন বেনারস নিবাসী প্রভু চৌহানের ছেলে সঞ্জয় চৌহান এর সঙ্গে। খুশি খুশিই এই বিয়েতে মত দিয়েছিল পাত্র-পাত্রী এবং দুই পরিবার। কিন্তু বিয়ের দিন সব বদলে গেল। বিয়ের কিছুক্ষণ পরেই নববধূ তার সদ্য বিবাহিত জীবনসঙ্গী, বরের সাথে বন্ধন ছিন্ন করে। কনে বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি যাত্রার আগে বেঁকে বসলেন। বরের সাথে যেতে অস্বীকার করে বললেন বর আমার থেকে অনেকটাই বড়, জানতাম না। ঘটনাটি বারাণসীর চৌবেপুর এলাকার।
জানা গেছে, রবিবার কাদিপুর খুর্দ গ্রামের চৌহান বস্তিতে সেই বিয়ে ছিল। বরযাত্রী বিয়ে করাতে বারাণসী শহরের সংকটমোচন এলাকা থেকে মেয়ের গ্রামে পৌঁছে নানা ধার্মিক ও আঞ্চলিক রীতি যেমন দ্বারচর, মালা বদল ইত্যাদি সম্পূর্ন করে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আচার-অনুষ্ঠান মতন বর ও কনে সাতবার প্রদক্ষিণ করা হয়। সিঁদুর দান করে বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
কিন্তু সোমবার সকালে মেয়ে জামাই বিদায়ের প্রস্তুতি শুরু হলে কনে বরের সঙ্গে যেতে রাজি হননি। না যাওয়ার কারণ হিসাবে জানান, বর বুড়ো হয়ে গেছে।
সোমবার সকালে বিদায়ের সময় যখন ট্রাক্টর-ট্রলিতে সমস্ত মাল বোঝাই করা হয়, তখন কনে বরের সঙ্গে যেতে রাজি হননি। এ নিয়ে বর-কনে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং বিষয়টি জটিল আকার নেই।
বিষয়টি চৌবেপুর থানায় পৌঁছায়। বর-কনে উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে পঞ্চায়েত চললেও কনের জেদের কাছে সব হার মনে এবং মাত্র কিছুক্ষণ আগে যে বিয়ে হয়েছিল তা ভেঙ্গে যায়। SHO অনিল মিশ্র উভয় পক্ষ কে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পঞ্চায়েতও চলে, কিন্তু কনের জেদ ছিল অনড় এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য স্বামী হওয়া বরকে কনে ছাড়াই খালি হাতে ফিরতে হয়।