সপ্তাহে অন্তত কয়েকটি দিন মাংস খাওয়া জরুরি। তাতে স্বাস্থ্যের যত্ন হয়। এর ফলে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ধরনের প্রোটিন পায় শরীর। তাতে কর্মশক্তি বাড়ে। যতই নিরামিষ খাবারের পক্ষে নানা যুক্তি তৈরি হোক না কেন, এখনও বহু চিকিৎসক কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মাংস খেতে বলে থাকেন। কিন্তু এখনও অনেক চিকিৎসক আছেন, যাঁরা মাংসের পক্ষে কথা বলে থাকেন। তাই বলেই কি যে কোনও ভাবে মাংস খেলে হবে? তা কিন্তু নয়।
মাংস রান্নার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকতে হবে। রান্নার ধরনের ভুলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
কী ভাবে রান্না করা মাংস খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়?
মূলত ঝলসানো মাংস খেলেই শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই আজকাল গ্রিল মেশিনে মাংস ঝলসে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এতে মাংসের কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। তার থেকে পলিসিস্টিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। সেই বস্তুটি শরীরের ক্ষতি করে। ক্যানসারের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায় এর ফলে। বিশেষ করে খাদ্যনালীতে ক্যানসার হয় ঝলসে যাওয়া খাবারের প্রভাবে।
৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বা এর ওপরে মাংস ভাজা হলে বা সরাসরি আগুন বা গ্রিলে ঝলসানো হলে অথবা তপ্ত ধাতব পাত্রে ফুটন্ত তেলে দীর্ঘসময় রান্না করা হলে এইচসিএ ও পিএএইচ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সে কারণে কাবাব, স্টেক, গ্রিল করা মাংস, বারবিকিউ বা ভাজা মাংস বেশি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
তাছাড়া ফ্রিজে মাংস রাখার সময় আবশ্যই তা ঢেকে রাখতে হবে। আর যে পাত্রে কাঁচা মাংস রাখবেন, সেটা অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। নিজের হাতও গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তাহলেই ব্যাকটিরিয়া থেকে বেঁচে থাকা যাবে।