অদ্ভুত ভাবে পরিবারের অগোচরেই এক বৃদ্ধ উধাও হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত পাঁচদিন পর খোঁজ মিলল তার। কিন্তু মৃত অবস্থায়। সেখানকার স্থানীয় লোকজন এক আমবাগানের আমগাছের ডালে ওই বৃদ্ধর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শান্তিপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁ পাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেদনটি সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের।
জানা গিয়েছে, গোবিন্দ সরকার মৃত ব্যক্তির নাম, বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। শান্তিপুর তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন একটি আম বাগানের আম গাছের ডালের সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ ওই ব্যক্তির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকার মানুষ। গতকাল রাতেই থানায় আম গাছের ডাল থেকে খবর দেওয়া হলে সেখানে গিয়ে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, মানিসক অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছে তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি হঠাৎই কাউকে কিছু না জানিয়ে গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে চলে যান। তাদের দাবি, প্রায়শই তিনি এরকম বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেতেন হুটহাট করে। মৃতের ছেলে পঙ্কজ সরকার জানিয়েছেন, আত্মীয়দের বাড়ি চলে যেতেন তার বাবা প্রায়ই না বলে। আবার বাড়ি ফিরে আসতেন সেখানে দু একদিন কাটিয়ে। কিন্তু এবার বাড়ি না ফেরায় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে দু’দিন পেরিয়ে গেলে। এরপর শান্তিপুর থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করে পরিবার ওই ব্যক্তির সন্ধান না পাওয়ায়। গতকাল রাতে ওই বৃদ্ধের পরিবার দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ব্যক্তি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। রবিবার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বৃদ্ধ-র মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জল্পনা দেখা দিয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তি বিভিন্ন রোগে ভোগার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। মানসিক অবসাদের কারণ এই আত্মঘাতীর পেছনে বলে দাবি পরিবারের। এছাড়াও তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনো পারিবারিক অশান্তি বা মনোমালিন্য ছিল না। কিন্তু তেমন উপার্জন করে না পরিবারের কেউই বলে তাঁর বাবা অবসাদে ভুগতেন। বৃদ্ধ আত্মঘাতী হয়েছেন সেই থেকেই বলে ছেলের দাবি।