Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটে হেরেও কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

একুশের বিধানসভা ভোট ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চেয়েছে। ফের সরকার গড়তে চলেছে তৃনমূল কংগ্রেস এমনটাই রায় দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাসী। বিপুল ভোটে জিতে বঙ্গের ক্ষমতার রাশ থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হাতে।

কিন্তু বিপুলসংখ্যক সিটে জিতেও দলের প্রধান নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী একমাত্র যে বিধানসভা কেন্দ্রটিতে ভোটে লড়েছেন, সেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি তার একদা দলের কান্ডারী আর বর্তমান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন।

তৃণমূলের জয়ের মুকুটে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নন্দীগ্রামের ফলাফল। এই ফল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রামে ফের পূনঃগণনার দাবি জানিয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠে আসছে বিধানসভায় কোন আসনে জয়ী না হয়েও কি একজন প্রার্থীর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার সুযোগ থাকে?

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল হয়তো এই প্রথমবার এমন দৃষ্টান্তের সাক্ষী হল। আর তাই বিভিন্ন মহলে চর্চা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারবেন ?

ভারতের সংবিধান অনুসারে, পরাজয় সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন মমতা। ভারতের ১৯৫১ সালের জন-প্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, বিধায়ক বা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত না হয়েও কোনও ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমনকী প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হতে পারবেন। তবে তার দলকে সরকার গঠন করতে হবে সাথে সাথে সেই দলের নির্বাচিত সদস্যদের সেই ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করতে হবে। এছাড়াও সেই ব্যক্তির মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বার শপথের ছয় মাসের বা ১৮০ দিনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের ভোটে লড়ে নির্বাচিত হতে হবে।

এমন উদাহরণ অবশ্য অনেক পাওয়া যায়। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোনো বিধায়ক পদ ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন মমতা। অবশ্য সেবার তিনি কোনো ভোটে হারেননি। পরে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক পদ পান তিনি। কিছুদিন আগে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত না হয়েই তিরথ সিং রাওয়াত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

আবার, দল জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হেরে গিয়েছেন এমন উদাহরণও আছে। ২০১৭ সালে হিমাচলপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জেতা সত্বেও হেরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেম কুমার ধুমাল। পরে অবশ্য বিজেপি জয়রাম ঠাকুরকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। ইত্যাদি বেশ কিছু ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে অমিল নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা আসবে না ভাবাই যায়।

Related posts

‘আমায় ফাঁসানো হয়েছে’, গ্রেফতারের সময় চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে আর কি বললেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা!

News Desk

নাকতলার পুজোয় দেখেছি, এর বাইরে চিনি না’, অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ‘মানতে নারাজ’ পার্থ

News Desk

বিধানসভায় প্রাপ্তি মোটে ১টি আসন, সেই নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা প্রসঙ্গে বড় কথা বলে দিলেন আব্বাস সিদ্দিকী

News Desk